fbpx

পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। জুনের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে সিসি ক্যামেরা থাকবে কিনা- তা বাজেট বরাদ্দের ওপর নির্ভর করবে। রোববার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব তথ্য জানান।

এ বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আয়োজনের চেষ্টা করব। ওই নির্বাচনের আয়োজনের সুবিধার্থে জুনের মধ্যে এক বা দুটি এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি তিনটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষ করব।

আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বিধান আছে। এ হিসাবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হবে চলতি মাসের ১১ মার্চ থেকে। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যদিকে খুলনা ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনের সময়সীমা ১৩ এপ্রিল শুরু হয়ে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত রয়েছে। বরিশাল সিটির ভোটের সময়সীমা ১৪ মে থেকে ১৩ নভেম্বর, সিলেট সিটির ৬ মে থেকে ৬ নভেম্বর রয়েছে। ময়মনসিং সিটি ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর। ১৯ জুন ২০২৪ সালের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসব নির্বাচন প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে কমিশনে কোনো আলোচনা হয়নি। যেহেতু গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করতে হবে, তাই আগেভাগে এসব নির্বাচন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, যেকোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। সেই হিসাবে যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে, সেজন্য নির্বাচনগুলো আর্লি (আগে) করার চেষ্টা করব। মার্চের পরে যেকোনো সময় নির্বাচন হতে পারে।

চার সিটির ভোট এক দিনে হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, এক দিনে হবে না। ছয়টা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আছে। তার মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনেক দেরি। বাকি পাঁচটা সিটি নির্বাচন হয়তো দুদিনে হতে পারে, তিন দিনেও হতে পারে। এই কমিশনার বলেন, জুন মাসের মধ্যে দুই সিটি ভোট করার ইচ্ছা আছে। তবে এখন পর্যন্ত দিন তারিখ ঠিক হয়নি। চূড়ান্ত কিছু হয়নি। যেগুলো আগে ম্যাচিউরিটি (ক্ষণগণনা) শুরু হবে সেগুলো আগে হবে। সিটি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, এগুলো নির্ভর করবে বাজেটের ওপর। আমরা বাজেট চাইব। টাকা পেলে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। সরকারের ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর সিসি ক্যামেরা নির্ভর করছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা ভোটের অনুষঙ্গ নয়। আইনে কোথাও বলা নেই সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে। এটা বাড়তি ব্যবস্থা এবং পরীক্ষামূলক ছিল। টাকা পেলে সব আসনে না করলেও ঝুঁকিপূর্ণ আসনে করব।

সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির আগ্রহ আছে জানিয়ে এ কমিশনার বলেন, তবে এটা অনেক কিছুর ওপর ডিপেন্ড করবে। নতুন ইভিএম প্রকল্প আসেনি। যেসব ইভিএম আছে, সেগুলোর ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। সার্ভিসিং করাতে হবে। সেজন্য টাকা লাগবে। সার্ভিসিং করিয়ে যদি সচল করতে পারি তার ওপর নির্ভর করবে কতগুলো ইভিএম ব্যবহার করব।

Advertisement
Share.

Leave A Reply