fbpx

‘পাওয়ার হিটিং শেখানোর জন্য আমিই যথেষ্ট’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশ দলের দুর্বলতা লক্ষণীয়। পাওয়ার হিটিং শট খেলতে না পারায় বড় স্কোর করাও প্রায়ই সম্ভব হয় না টাইগারদের জন্য, ফলাফল ম্যাচ হার। এই সমস্যাগুলো টাইগারদের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সও ভালোভাবেই বোঝেন। তবে জাতিগতভাবেই শারীরিক সামর্থ্যের দিক থেকে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে থাকায়, বিকল্প উপায়ে বড় রান সংগ্রহের দিকে টাইগারদের নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। পাশাপাশি সময় নিয়ে দলের খেলায়াড়দের পাওয়ার হিটিং টেকনিকটাও শিখিয়ে দিতে চান।

“জাতিগতভাবেই বাংলাদেশ দলে বিশালদেহের ক্রিকেটার নেই। বাটলার, ম্যাক্সওয়েলদের দেখেন; সবাই ছয়ফুট দুই বা তারও বেশি, অনেক শক্তিশালীও। আমরা চাইলেই অন্য দলকে টি-টোয়েন্টিতে উড়িয়ে দিতে পারব না। আমাদের অন্য পথ খুঁজে বের করতে হবে”-বলছিলেন সিডন্স

কী হতে পারে সেই বিকল্প পথ, সে উপায়ও বাতলে দিয়েছেন এই অজি কোচ, “টি-টোয়েন্টি জিততে হলে চার ছক্কা লাগবেই, যত বেশি বাউন্ডারি; জেতার সম্ভাবনা তত বেশি, সাথে এক দুই। তবে মাথায় রাখা জরুরী, এক দুই নিয়ে বিশ ওভারের ম্যাচ জেতা যাবে না। ডটবল যতো কম খেলা যায় ততো ভালো। যথেষ্ট ছক্কা মারা যদি সম্ভব নাও হয়, চার মারতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে অনেক বড় স্কোরের বদলে আমাদের দরকার মোটামুটি ভাল রান; কারণ, বোলিং যথেষ্ট ভালো। মোটামুটি ভাল রান বোর্ডে থাকলে, বাকি কাজটা বোলাররা করে দিতে পারবে।”

এর আগে সাউথ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজে খন্ডকালীন পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে দলের সাথে যোগ দিয়েছিলেন অ্যালবি মরকেল। তবে, সিডন্স মনে করেন টাইগারদের পাওয়ার হিটিং শেখানোর জন্য আলাদা কোচের দরকার নেই; বরং তিনিই যথেষ্ট। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পাওয়ার হিটিং শেখানোর জন্য আমিই যথেষ্ট। কিন্তু এখানে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) আসার পর মোটে পাঁচটা সেশন কাজ করতে পেরেছি, সেও ম্যাচের আগে পরে; আর ম্যাচের প্রস্তুতির সময় পাওয়ার হিটিং স্কিল নিয়ে কাজ করতে গেলে ব্যাটাররা সেটা নিতে পারবে না। হয়তো নতুন টেকনিক শেখাতে হবে অথবা টেকনিকে বদল আনতে হবে, এই কাজগুলো খেলা চলাকালীন করলে ওদের সমস্যা হবে। বড় শট খেলার দক্ষতা বাড়াতে পর্যাপ্ত ট্রেনিং প্রয়োজন, রাতারাতি পাওয়ার হিটার বানানো যায় না; সময় লাগে।”

Advertisement
Share.

Leave A Reply