আবারও একই মসজিদের দান বাক্স থেকে চার মাস ২৬ দিন পর পাওয়া গেছে ১২ বস্তা টাকা আর স্বর্ণালঙ্কার! আর এসব পাওয়া গেছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দান বাক্স থেকে। এর মাত্র কিছুদিন আগে, গত ২৩ জানুয়ারি এই মসজিদের দানবাক্স খুলে সেখান থেকে পাওয়া যায় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা।
আজ শনিবার (১৯ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঐতিহাসিক এই মসজিদের ৮টি দানবাক্সের সিন্দুক খোলা হয় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মসজিদ কমিটিসহ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে।
মসজিদ কর্তৃপক্ষের সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মসজিদের দ্বিতীয় তলায় বস্তাগুলো থেকে টাকা ঢেলে চলছে টাকা গণনার কাজ। এই টাকা গণনায় অংশ নিয়েছেন পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের দেড়শ’র বেশি শিক্ষার্থী ও রুপালি ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এ কার্যক্রমের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহিম ও মো. উবায়দুর রহমান শাহেল।
জেলা প্রশাসকের এই কর্মকর্তারা জানান, আজ বিকেল হয়ে যাবে টাকা গণনা শেষ করতে। এরপর সব হিসাব-নিকাশ করে ব্যাংকে জমা রাখা হবে এ টাকা।
জানা যায়, অসংখ্য মানুষ এই ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রতিদিনই দানবাক্সগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। তাছাড়া, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়। এই মসজিদের দানবাক্স সাধারণত তিন মাস পরপর খোলা হয়। তবে, করোনাভাইরাসের কারণে সময়ের ব্যবধান এবার বাড়িয়ে চার মাস ২৬ দিন পর এ দানবাক্স খোলা হলো।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধি সম্প্রসারিত হয়ে এটিকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে। দেশের অন্যতম আয়কর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদটির আয় দিয়েই কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতেও অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়।