fbpx

পাগলা মসজিদের দান বাক্সে রেকর্ড, মিলল পৌনে চার কোটি টাকা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আট দান বাক্সের ১৫ টি বস্তা থেকে প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

এছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ শামীম আলম।

শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের দান বাক্সগুলো খোলা হয়। সেই বাক্স থেকে প্রাপ্ত টাকা ১৫টি বড় বস্তায় ভরে নিয়ে গণণা শুরু হয়।

এই গণণা চলে প্রায় ১২ ঘণ্টা। যেখানে টাকা গোনায় অংশ নেন মসজিদ ও মাদ্রাসার শতাধিক ছাত্র-শিক্ষক, রূপালী ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও আনসার সদস্য, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আর গোটা প্রক্রিয়ার তত্বাবধানে ছিলেন কিশোরগঞ্জের ডিসি ও রুপালী ব্যংকের ময়মনসিংহ বিভাগের জিএম হেমন্ত কুমার দাস।

ডিসি শামীম আলম বলেন, “এবার দান বাক্সে তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া গেছে। এটা মসজিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছর ৬ নভেম্বর জমা পড়ে তিন কোটি সাত লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা।”

দান বাক্স থেকে পাওয়া এই অর্থ দিয়ে পাগলা মসজিদ ও মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় মেটানো হয়। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব শিক্ষার্থী ও দুস্থদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজেও ব্যয় করা হয় বলেও জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা এই পাগলা মসজিদ। সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট তিনতলা মসজিদটি জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকার প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে রয়েছে।

কথিত আছে, বাংলার বার ভুঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান ‘জিলকদর খান’ ওরফে ‘জিল কদর পাগলা’ ওই নদীর তীরে নামাজ পড়তেন। পরে সেখানে মসজিদ নির্মিত হয়। ‘জিল কদর পাগলার’ নাম অনুসারে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply