ভারতের পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে ২৯ মে বাড়ি ফেরার পথে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সারা শরীর মিলিয়ে ২৫টি বুলেট গেঁথে ছিলো সিধুর শরীরে। বুলেটের আঘাতে তার মাথার খুলি, পাঁজর, ফুসফুস, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্রসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঝাঁঝরা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২৮ বছর বয়সী এই গায়কের। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পাঞ্জাবের মানসা জেলায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ থেকে খবরটি জানা গেছে।
ঘটনাটি একদম দিনের বেলায় ঘটেছে। এই ঘটনায় আরো দুজনের অবস্থা সংকটজনক বলে জানানো হয়েছে।
পঞ্জাব পুলিশ ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন ৬ ব্যক্তিকে ভারতের উত্তরাখণ্ডের দেরাদূন থেকে আটক করেছে। অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জানা গেছে, এই ঘটনায় মোট ৮ জন জড়িত ছিলো।
সিধুর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা ভারত। পঞ্জাবের আর এক সঙ্গীত তারকা মিকা সিং জানান, নিয়মিত গ্যাংস্টারদের হুমকি পেতেন সিধু। তার মৃত্যুতে সেই সব আততায়ীদের হাত রয়েছে বলেই সন্দেহ মিকা’র।
ভারতের রাজনৈতিক মহলও এই গায়কের মৃত্যুতে সরব হয়েছে। সিধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
হিন্দুস্তান টাইমস থেকে আরও জানা যায়, সিধু হত্যার দায় স্বীকার করেছে কানাডাভিত্তিক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার ওরফে সতিন্দর সিং। এই গ্যাংস্টার একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত।
মুসেওয়ালা খুনের পর পরই একটি ফেসবুক পোস্ট প্রকাশ্যে আসে। ওই ফেসবুক পোস্টে লেখা ছিল ‘সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার দায় নিচ্ছি আমি এবং আমার ভাই গোল্ডি ব্রার। জনসাধারণ অনেক কিছুই বলছে, বলুক। কিন্তু আমরা আমাদের ভাই ভিকি মিদুখেরার খুনের বদলা নিয়েছি। সিধু মুসেওয়ালা আমার ভাইয়ের হত্যায় সহযোগিতা করেছিল।
ওই ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘আমি মুসেওয়ালাকে বলেছিলাম, তুমি কিন্তু ভাল কাজ করলে না। কিন্তু ও আমাকে পাল্টা বলেছিল, আমি কাউকে পরোয়া করি না। শুধু তাই-ই নয়, বলেছিল যে, ও বন্দুকে গুলি ভরে রেখেছে। আমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিল। আমরা আমাদের ভাইয়ের হত্যার বদলা নিতে পেরেছি। তবে এটা সবে শুরু। ভাইয়ের হত্যার যারা যারা জড়িত, তাদেরও সতর্ক করছি।’