fbpx

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষের সময় কমানোর প্রস্তাব

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চলমান শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে শিক্ষাবর্ষের সময় কমানো, বিভিন্ন ধরনের ছুটি বাতিলসহ ছয়টি প্রস্তাব মঙ্গলবার (২২ জুন) সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো হয়েছে। তবে এই পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে বলেও সেই ‘রিকভারি গাইডলাইনে ’বলা হয়েছে।

ইউজিসির ছয় নির্দেশনা
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত/ বিদ্যমান একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময়কাল উল্লেখযোগ্য ও গ্রহণযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে হবে;
২. সেমিস্টার/ টার্ম বা বার্ষিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে ব্যবহারিক বিষয়সহ সকল বিষয়ের ক্লাস/ ক্লাস টেস্ট/ এসাইনমেন্ট/ কুইজ/ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা প্রচলিত সময়ের চেয়ে কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন ছুটি ( গ্রীমসকালীন, শীতকালীন, ঈদ বা পূজার ছুটি) কমানো যেতে পারে বা ছুটি পরিহার করা যেতে পারে;
৩. প্রতিটি ক্লাসের (তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক) সময় বর্তমানের মতোই বলবৎ থাকবে অর্থাৎ লেকচারের সময় কমানো যাবে না। তবে লেকচারের সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হলেও পুরো সিলেবাসের পাঠদান সম্পন্ন করতে হবে;
৪. একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময় কমানোর স্বার্থে ক্লাস টেস্ট/ কুইজ/ মিডটার্ম পরীক্ষা/ অ্যাসাইনমেন্ট/ টার্ম পেপারের ন্যায় বিষয়গুলো নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে;
৫. চূড়ান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক ছুটি, দুটি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝের গ্যাপ ও বর্ষ/ সেমিস্টারের/ টার্মের মাঝের গ্যাপ কমানো যেতে পারে;
৬. সর্বোপরি রিকভারি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই অনুমোদিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার শিক্ষার্থীদের অবহিত করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং প্রণীত একাডেমিক ক্যালেন্ডার বাস্তবায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply