টানা ১৯ দিন লকডাউনের পর চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে গোটা দেশ। ফলে রাজধানীমুখী মানুষের চাপও বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে সাতশ’র বেশি যানবাহন। যানবাহনের সারি দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘতর হচ্ছে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রী, যানবাহনের চালক ও সহকারীদের।
ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেরি স্বল্পতা, পদ্মায় তীব্র স্রোত ও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে এই ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।তবে লঞ্চ চালু থাকায় অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে লঞ্চে পাটুরিয়া যাচ্ছেন।
রাজবাড়ির দৌলদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩০০ যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। ফেরি পারের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে এই সব যানবাহন। এছাড়া ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে দৌলতদিয়া থেকে ১৩.৫ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী এবং গাড়িবাহী ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় দৌলতিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চাপ বেড়েছে।
ট্রাকচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা রাত একটার দিকে ফেরিঘাটে আসলেও এখনো কোনো ফেরিতে উঠতে পারেন নি। লকডাউন ছুটে যাওয়ায় ট্রাকের সঙ্গে বাসও পারপার হচ্ছে। আর নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি পারাপার হতে সময় লাগছে।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে আবার লকডাউনও ছুটে গেছে। তাই যাত্রীবাহী বাসের চাপও রয়েছে বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) বলেন, ‘আজ থেকে আমাদের ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাই ঘাট এলাকায় এসে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।‘
