পাসপোর্টের নামের বানান ও বয়সের ভুলসহ বেশ কয়েকটি তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে এখন থেকে লাগবে না কোনো ধরনের অ্যাফিডেভিট বা হলফনামা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীলরা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, আগে পাসপোর্টে নামের একাংশের ভুল বা বানান ভুলের জন্য হলফনামার (অ্যাফিডেভিট) প্রয়োজন হতো। তবে বর্তমানে শিক্ষাগত সনদের কপি দিলেই এই পরিবর্তন করা সম্ভব।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি তার পাসপোর্টের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম এবং বয়স পরিবর্তন করতে পারবেন। এ জন্য তাকে পাসপোর্ট সংশোধনের আবেদনের সঙ্গে জেএসসি, জেডিসি, এসএসসি বা সমমানের শিক্ষা সনদের কপি জমা দিতে হবে। সেই সনদের হুবহু পাসপোর্টের তথ্য আপডেট করা হবে। এছাড়া নামের বানান সংশোধন ছাড়াও কারও পাসপোর্টে যদি নাম ‘মোহাম্মদ‘ বা ‘মোসাম্মত’ থাকে এবং তিনি যদি সনদের মতো করে পাসপোর্টে ‘এমডি’ (MD) বা ‘এমওএসটি’ (MOST) করতে চান সেক্ষেত্রে হলফনামা ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে।
অন্যদিকে কারও নামের প্রথম অংশ ও দ্বিতীয় অংশ যদি বদল করার প্রয়োজন হয় (যেমন- রহমান মাসুম থেকে মাসুম রহমান) সেক্ষেত্রে তিনি শিক্ষা সনদ দেখিয়েই তা করতে পারবেন। পাশাপাশি পাসপোর্টে মিস্টার, মিসেস, ড. ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারের মতো উপাধিগুলো অনায়েসেই বাদ দেওয়া যাবে বা যোগ করা যাবে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে আরও জানা গেছে, কেউ যদি নামের দুই অংশ পরিবর্তন করতে চায় সেক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই হলফনামার কপি জমা দিতে হবে। যেমন- কারও পাসপোর্টের নাম যদি ‘নূর আলী’ হয়, তিনি যদি তার নাম ‘মোহাম্মদ নূর হোসেন’ হিসেবে পরিবর্তন করতে চান তবে সেক্ষেত্রে হলফনামা বা অ্যাফিডেভিট এর প্রয়োজন হবে।