fbpx

পাসপোর্ট থেকে কেন ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ বাদ প্রশ্ন ফখরুলের, জবাব দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নতুন ই- পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলের নাম বাদ দেওয়া হলেও দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নীতিগত কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আন্তর্জাতিক মানের স্বার্থে পাসপোর্টের এই পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশের নতুন ই–পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই প্রসঙ্গে রবিবার এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পাসপোর্টের পরিবর্তনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের যুক্ততা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিবর্তনে ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পরিবর্তনের কিছু নেই। কারণ, আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেই নি।’

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সমর্থন অটুট আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর আমি আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করি। ওনার‌ কাছে জেনেছি, ছয় মাস আগে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করার পর ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ একসেপ্ট ইসরায়েল’ থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ অংশটি বাদ গেছে।’

এদিকে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ কথাটি বাদ দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, ‘যেটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বলা যেতে পারে যে, কনসেনসাস জনগণের, সব সরকারের যে, ইসরায়েল আমাদের শত্রু, পৃথিবীর শত্রু। কারণ তারা মানবাধিকারকে ধবংস করছে।’

ইসরায়েল শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার কেন এই নতুন করে প্রেম করতে যাচ্ছে ইসরায়েলের সঙ্গে?’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইসরায়েলে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই। ইসরায়েলের বিরোধী অবস্থান আমাদের। আমরা স্ট্রেটকাট বলতে চাই- আমরা বরাবরই ছিলাম, আমরা এখনো আছি।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply