fbpx

পেঁয়াজ, ডিম, ডালসহ দাম বেড়েছে ৯ নিত্যপণ্যের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দ্রব্যমূল্যের চড়া দামে নাভিশ্বাস জনসাধারণের জীবন। তেলের বাজার উধ্বমুখী হওয়ার মাঝেই বাজারে চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজসহ ৯ টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।এই তালিকায় আছে-মাংস, ডিম, ডাল, চিনি, আটা-ময়দা, আদা-রসুন, আলু ও গুঁড়োদুধ।

শনিবার (১৪ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগে ছোট দানার মসুর ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। বড় দানার মসুর ডাল কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়ে ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি খোলা চিনি মানভেদে ২-৪ টাকা বেড়ে ৮২-৮৪ টাকায়, প্রতিকেজি খোলা আটা ২-৫ টাকা বেড়ে ৪২-৪৫ টাকায়, খোলা ময়দা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় এবং খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আলুর দাম ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গেল সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও সপ্তাহ ব্যবধানে এর দাম বেড়ে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর প্রতিকেজি দেশি ও আমদানি করা আদা ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ ও ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনেরও দাম প্রতিকেজিতে বেড়ে ২০ টাকা বেড়ে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুধু কাঁচাবাজারই নয়, মাংসের দামও বেড়েছে আগের চেয়ে। ঈদের আগে গরুর মাংস কেজিতে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৭২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর বয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দামও হালিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কোম্পানিভেদে প্রতিকেজি গুঁড়োদুধ ৬৫০-৬৯০ টাকা বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ৬৯০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেশিরভাগ ক্রেতাই পণ্যের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীদের এখন আর কোনও ইস্যু লাগে না। তারা চাইলেই পণ্য মজুত করার মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দেন।

তবে ক্রেতাদের এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, অধিকাংশ নিত্যপণ্যের জন্য তাদের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। পণ্য আমদানিতে খচর বেড়ে যাওয়ায় তারাও দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।

অন্যদিকে, দেশি পণ্যের ক্ষেত্রে চাষি, ফড়িয়া, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তারাও পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এজন্য ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply