fbpx

পেঁয়াজ স্বস্তি দিলেও এবার ভোগাচ্ছে রসুন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও মাসের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে এই পণ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আমদানি করা রসুন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর দেশি রসুন মিলছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, ‘কোনো জিনিসের দর বেশি বেড়ে গেলে আমরাও সমস্যার মধ্যে পড়ে যাই। তখন কাস্টমার বেশি দর কষাকষি করে, কিন্তু আমরা তো লস দিয়ে বিক্রি করতে পারি না।’

অন্যদিকে আটা ও ময়দার দাম আরেক দফা বেড়েছে।

বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহ যে রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা বিক্রি হয়েছিল, এখন তা ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলেই দাবি তাদের।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির বাজার দরের তালিকায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায়। গেল সপ্তাহে যার দাম ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর এপ্রিল মাসে এই দাম ছিল ১০০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে দেশি রসুনের চেয়ে আমদানি করা রসুনের চাহিদা বেশি। আমদানি করা রসুনের দাম বাড়ার পাশাপাশি দেশি রসুনের দামও বেড়েছে। গত এক মাসের ব্যবধানে দেশি রসুনের দামও বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।

অন্যদিকে কয়েক সপ্তাহ জুড়ে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। কেজিতে ৫ টাকা কমে পেঁয়াজ এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে আরেক দফা বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম। প্রতি কেজি খোলা আটা ৫০ থেকে ৫২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটের আটা বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। গত সপ্তাহে খোলা আটার দর ছিল ৪৫ টাকার মধ্যে। আর প্যাকেটজাত আটার কেজি ছিল ৫০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ময়দা ৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও তা বেড়ে ৭৫ টাকা হয়েছে বলে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply