fbpx

পোশাক কারখানা বন্ধ হলে বাড়বে করোনার ঝুঁকি, দাবি মালিক সমিতির

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউনে পোশাক কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি তৈরি পোশাক মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা।

রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে লকডাউন চলাকালে কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও ইএবি-এর প্রতিনিধিরা।

প্রতিনিধিরা বলছেন, কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা গ্রামে ফিরতে চাইবে। তাতে সংক্রমণ কমার চেয়ে উল্টো বেড়ে যাবার ঝুঁকি তৈরি হবে। তাই লকডাউনের সময় কারখানা খোলা রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরেণ তারা।

বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, ‘গত বছর সাধারণ ছুটি ও পরবর্তীতে দুই ঈদে শ্রমিকদের ঢাকা, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ ত্যাগ করে গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ায় যে হিড়িক পড়েছিলো, এ বছর সেঘটনার পুনরাবৃত্তি যেনো না হয়, তার জন্য গার্মেন্টসসহ অন্যান্য কারখানা লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। লকডাউন শেষে এসব শ্রমিক যখন আবার কর্মস্থলে ফিরে আসবে, তখনও অনিশ্চয়তার পাশাপাশি থাকবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।‘

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয় শুরু হবার পর ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এক সপ্তাহ জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর সব কিছুই বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে পোশাক শিল্প মালিকরা দাবি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম।

উন্নত বিশ্বসহ প্রতিযোগী দেশগুলোতেও রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো লকডাউনের আওতামুক্ত উল্লেখ করে তারা বলেন, কারখানা বন্ধ হলে দেশের রপ্তানিতে ‘মারাত্মক নেতিবাচক’ প্রভাব পড়বে। সাপ্লাই চেইন বিপর্যস্ত হলে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট, কনটেইনার জট ও অন্যান্য বিপত্তি যুক্ত হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশ বাজার হারাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ, বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

Advertisement
Share.

Leave A Reply