fbpx

পৌরভোটের ফল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ৫৫টি পৌরসভায় ভোট হয় গতকাল রবিবার। সেদিন সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এরপর ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তাতে দেখা যায়, বেশির ভাগ জায়গায় নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। তবে কয়েকটি পৌরসভায় বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীও জয় পেয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন ও সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবরে বিভিন্নস্থানে পৌরভোটের ফল :

ত্রিশাল

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ সরওয়ার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিসুজ্জামান আনিস জগ প্রতীক নিয়ে ১২ হাজার ২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনীত নবী নেওয়াজ সরকার পেয়েছেন সাত হাজার ৪৮৬ ভোট।

করিমগঞ্জ, হোসেনপুর ও বাজিতপুর

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘করিমগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. মুসলেহ উদ্দিন ১০ হাজার ৮৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপির আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৫০ ভোট।

তিনি বলেন, ‘হোসেনপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল কাইয়ুম খোকন সাত হাজার ৫১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ হোসেন হাছু পেয়েছেন চার হাজার ৪৫১ ভোট।

নির্বাচনী কর্মকর্তা আরও জানান, বাজিতপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ার হোসেন ১৪ হাজার ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি বিএনপির এহেসান কুফিয়া পেয়েছেন ৬৯৭ ভোট।

শেরপুর, শ্রীবরদী

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে ২৯ হাজার ৬৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। তার নিকটতম বিএনপির এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ পেয়েছেন পেয়েছেন আট হাজার ৭৯৬ ভোট।

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শ্রীবরদী পৌরসভায় ছয় হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া। তার নিকটতম বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাকিম পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪২ ভোট।

কচুয়া, ফরিদগঞ্জ

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কচুয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাজমুল আলম স্বপন ১০ হাজার ২১২ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আহসান হাবীব প্রাঞ্জল মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে এক হাজার ৫১ ভোট পেয়েছেন।

ফরিদগঞ্জের মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের পাটোয়ারী। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আবুল খায়ের পাটোয়ারী ১৭ হাজার ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইমাম হোসেন পাটওয়ারী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৭০৮ ভোট।

আখাউড়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভায় মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের মো. তাকজিল খলিফা কাজল। রাত পৌনে ৮টার দিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জানান, তাকজিল খলিফা কাজল পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু পেয়েছেন ৭৭৮ ভোট।

বাগেরহাট

বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান হাবিবুর রহমান ১৯ হাজার ২৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপির মো. সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল পেয়েছেন ৩৫৯ ভোট। উল্লেখ্য, এই পৌরসভায় প্রথমবারের মত ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। এবার নিয়ে বাগেরহাট পৌরসভায় পঞ্চমবারের মত খান হাবিবুর রহমান মেয়র নির্বাচিত হলেন।

নগরকান্দা

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনে মেয়র পদে ২১৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিমাই সরকার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাসুদুর রহমান পেয়েছেন ১২২৮ ভোট।

চৌগাছা, বাঘারপাড়া

জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘চৌগাছা পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নূর উদ্দীন আল মামুন হিমেল ছয় হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জামায়াতের সহ-সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পেয়েছেন তিন হাজার ১৭ ভোট।

বাঘারপাড়া পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুজ্জামান বাচ্চু। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ২৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকী জগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ১০৮ ভোট।

কালাই, আক্কেলপুর

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কালাই পৌরসভায় নৌকার প্রার্থী রাবেয়া সুলতানা ৯ হাজার ১৭৭টি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান সোহেল পেয়েছেন ৮০০ ভোট।

তিনি বলেন, ‘আক্কেলপুর পৌরসভায় নৌকা প্রতীক নিয়ে শহীদুল আলম আট হাজার ২৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলমগীর চৌধুরী বাদশা ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ৫৮৬ ভোট।

রামগতি

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু ১০ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ধানের শীষের প্রার্থী শাহেদ আলী পটু পেয়েছেন ৩৮৭ ভোট।

মাটিরাঙ্গা

জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ ফল ঘোষণায় বলেন, ‘মাটিরাঙ্গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামছুল হক পাঁচ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএম জাহাঙ্গীর আলম মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৭৫৮ ভোট।

লালমনিরহাট, পাটগ্রাম

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘লালমনিরহাট পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন ১১ হাজার ০৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন নয় হাজার ৫৫ ভোট।

তিনি আরও বলেন, ‘পাটগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের রাশেদুল ইসলাম সুইট ১২ হাজার ৬১১ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন।’

সাতক্ষীরা

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজমুল কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘২৫ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির তাজকিন আহমেদ চিশতী। ভোটে প্রতিদ্বন্দিতায় তার নিকটতম আওয়ামী লীগের শেখ নাসেরুল হক পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫০ ভোট।

গোপালপুর, কালিহাতি

টাঙ্গাইল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গোপালপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী রকিবুল হক ছানা ১৮ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএম গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন চার হাজার ২৮৭ ভোট।

তিনি আরও জানান, কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ নুরুন্নবী সরকার ১১ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপির আকবর জব্বার পেয়েছেন সাত হাজার ৭৯ ভোট।

ঠাকুরগাঁও, রাণীশংকৈল

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা ২৬ হাজার ৫০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শরিফুল ইসলাম শরিফ পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৩৩ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, রাণীশংকৈল পৌরসভায় নৌকার মোস্তাফিজুর রহমান দুই হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মাহমুদুন নবী পান্না বিশ্বাস পেয়েছেন ৪৪৮ ভোট।

Advertisement
Share.

Leave A Reply