fbpx

প্রথমবারের মতো মানুষের রক্তে ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক’ শনাক্ত করলেন বিজ্ঞানীরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রথমবারের মতো মানুষের রক্তে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামের জার্নালে নতুন এ গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ডাচ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কমন সিস এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, তারা যাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের রক্তে মাইক্রোপ্লাস্টিক পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক রক্তের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরে চলাচল করতে পারে। শরীরের কোনো অঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিক জমতে পারে। তবে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর, তা এখনও জানা যায় নি।

তবে গবেষকরা বলছেন, এই মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের কোষের ক্ষতি করে। এছাড়া দূষিত বায়ুতে থাকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। আর এর জন্য বছরে লাখো মানুষ প্রাণ হারান।

গবেষকেরা তাদের গবেষণায় ২২ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করেন। অজ্ঞাতনামা এই ব্যক্তিরা সবাই সুস্থ ছিলেন।

এই ২২ জনের রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করে ১৭ জনের রক্তেই মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে আবার অর্ধেক ব্যক্তির রক্তে পিইটি প্লাস্টিক কণা পাওয়া যায়, যা কি না পানির বোতলে  ব্যবহৃত হয়। আর এক-তৃতীয়াংশ নমুনায় পলিস্টাইরিন পাওয়া যায়। এটি খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের মোড়কে ব্যবহৃত হয়। বাকি এক-চতুর্থাংশ নমুনায় পলিথিলিন পাওয়া যায়, যা প্লাস্টিক ব্যাগে ব্যবহৃত হয়।

নেদারল্যান্ডসের বৃজে ইউনিভার্সিটি আমস্টারডামের ইকোটক্সিকোলজিস্ট ডিক ভেথাক বলেন, প্রথমবারের মতো কোনো গবেষণায় মানুষের রক্তে পলিমার কণার উপস্থিতির বিষয়ে ইঙ্গিত মিলেছে। তবে এ বিষয়ে গবেষণার সংখ্যা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন ডিক ভেথাক। একই সঙ্গে তিনি গবেষণায় নমুনার আকার বাড়ানোর কথাও বলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply