প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে নাজেহাল ছিল জাপান। ২০২০ সালের ২ আগস্ট দেশটিতে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দেশটিতে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েছে। তবে আশার কথা হলো, ১৫ মাস পর গত রবিবার জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনেরও মৃত্যু হয়নি।
গতকাল ৭ নভেম্বর (রবিবার) জাপানে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবরের সূত্র এনএইচকে।
জাপানভিত্তিক বার্তাসংস্থা এনএইচকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে শুরু করেছে জাপানের নাগরিকরা। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ‘স্বাস্থ্য প্যানেল পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে নতুন করে পাঁচটি ধাপে অগ্রসর হচ্ছে
জাপানে বর্তমানে এন্টিভাইরাস ব্যবস্থাপনা প্যানেল চারটি ধাপে কাজ করছে। এটির কাজ হচ্ছে নতুন শনাক্ত ও হাসপাতালে ভর্তির হার নির্ণয় করা। এবার পাঁচটি ধাপে কাজ করার খসড়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
করোনার পারিপার্শ্বিক প্রকৃত অবস্থা নিরুপণের পাশাপাশি মেডিকেল সার্ভিস এবং টিকাদান কার্যক্রম এবং উপসর্গ খতিয়ে দেখার কাজ করা হবে এসব ধাপে।
যখন চীনের উহানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ চরমে ছিল,শহরটির হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল তখনও জাপান তার সীমান্ত বন্ধ করেনি।
করোনার কারণে জাপানে অর্থনৈতিক সংকটও তৈরি হয়। এছাড়া করোনার মধ্যে অলিম্পিকের আয়োজন করে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী ৭১ বছর বয়সী ইউশিহিদে সুগা। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী এখন ফুমিও কিশিদা।
