fbpx

ফাইজার-মডার্না টিকার তৃতীয় ডোজের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ফাইজার ও বায়োএনটেক এবং মডার্নার তৈরি করোনার টিকার তৃতীয় ডোজ প্রয়োগের অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন সংস্থা (এফডিএ)। শুধু করোনার বিরুদ্ধে  লড়াইয়ে যাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল তাদের এই তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে। দেশটির স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন সংস্থা এই অনুমোদন দেয়। ১৩ আগস্ট (শুক্রবার) নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। যাঁদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল, তাঁদের জন্য এই  তৃতীয় ডোজের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন সংস্থা- এমনটি জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  মডার্না ও ফাইজারের টিকা দুই ডোজের। এ দুটি টিকার ক্ষেত্রে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে এফডিএর এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল, তাঁদের তৃতীয় ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে গবেষণা চলছে। এ–সংক্রান্ত তথ্য গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এফডিএ এবং রোগ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) টিকা নিয়ে  বিভিন্ন দিক গবেষণা করছে। এফডিএ ও সিডিসি খুব শিগগির এসব তথ্য প্রকাশ করবে।

তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা বলছেন,  দিন দিন এটা পরিষ্কার হচ্ছে, টিকা নেওয়ার পরও অনেকে এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে তাঁদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি।

সংবাদ মাধ্যম এনবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  সিডিসির তথ্যসূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ২ দশমিক ৭ শতাংশ টিকা গ্রহীতার করোনা প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে বা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এটা ঠিক পরিষ্কার নয়, কারা পাবেন এই তৃতীয় ডোজ। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে যাদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যাঁরা ক্যানসারে আক্রান্ত এবং যাঁরা এইডসে আক্রান্ত, তাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম।

টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে গবেষণা চালিয়ে আসছে ফাইজার। গত জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ফাইজার বায়োএনটেকের টিকার তৃতীয় ডোজ করোনার মূল ভেরিয়েন্ট, বেটা ভেরিয়েন্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। করোনার টিকার দুই ডোজ দিলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তৃতীয় ডোজে।

আর  টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন সংস্থা (এফডিএ)।

Advertisement
Share.

Leave A Reply