fbpx

ফারদিন হত্যা মামলায় বুশরা পাঁচ দিনের রিমান্ডে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আয়াতুল্লাহ বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

বুশরাকে বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে হাজির করে রামপুরা থানা পুলিশ। পরে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে পুলিশ। আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

বুশরার পক্ষে কোনো জামিন আবেদন করা হয়নি। তার কাছে বিচারক জানতে চান, তার কোনো আইনজীবী উপস্থিত আছেন কি-না। বুশরা উত্তরে শুধু বলেন– “না।” শুনানির বাকিটা সময় তিনি চুপচাপ ছিলেন। আইনজীবী না থাকায় তার পক্ষে কেউ রিমান্ডের বিরোধিতাও করেননি।

এর আগে ফারদিন নূর পরশ হত্যা ঘটনার মামলায় আয়াতুল্লাহ বুশরাকে রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (এসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘মামলায় একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি বুশরা। মামলার পর তাকে এজাহারনামীয় হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি তথ্য তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ফারদিনের বান্ধবী আয়াতুল্লাহ বুশরার নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন দ্য রিভারাইন নামে ব্যবসাবিষয়ক একটি নিউজ পোর্টালের সম্পাদক। আর ফারদিনের মা সাহারা খাতুন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায়।

ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিনের সহকর্মী নাবিন চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সর্বশেষ এক বান্ধবীর সঙ্গে ছিল ফারদিন। ওই বান্ধবীর ভাষ্যমতে, বিকেলে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আসে ফারদিন। সেখান থেকে বান্ধবীসহ ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে। সেখান থেকে টিএসটিতে যায়। কিছু সময় কাটিয়ে রামপুরায় বিটিভির সামনে পর্যন্ত বান্ধবীকে এগিয়ে দেয়। এরপর ওই বান্ধবী আর ফারদিনের খবর পায়নি।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply