২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর। বাংলাদেশ প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দেখতে দেখতে কেটে গেছে বহু বছর। ১৭ বছরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ১৪৪টি। অবাক করে দেওয়া বিষয় হচ্ছে এই ১৪৪টি ম্যাচের মধ্যে যেখানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা সেখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র একটা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে কখনোই দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেনি ইংল্যান্ড। টাইগারদের বিপক্ষে খেলা ইংল্যান্ডের একমাত্র ২০ ওভারের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। কি হয়েছিল সেই ম্যাচে তা-ই রোমন্থন করা যাক।
আবুধাবিতে শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ২০তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের একাদশে ছিলেনঃ মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, মাহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ইংল্যান্ডের একাদশে ছিলেনঃ জেসন রয়, জস বাটলার, দাভিদ মালান, জনি বেয়ারেস্টো, এউইন মরগান, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ ও তাইমাল মিলস।
প্রথমে ব্যট করতে নেমে ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৪। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া আর কেউই ২০ এর উপর রান করতে পারেননি। অধিনায়ক রিয়াদ ও নাসুম আহমেদ উভয়ই করেছিলেন ১৯ রান। মিলস একাই নিয়েছিলেন তিন উইকেট। মঈন আলী ও লিভিংস্টোন নিয়েছিলেন দুইটি করে।
অল্প রানের পুঁজি নিয়ে লড়তে পারেনি টাইগাররা। ৩৫ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল মরগানের দল। রয়ের ৩৮ বলে ৬১ ও মালানের অপরাজিত ১৮ বলে ১৮ রানে সহজেই ম্যাচ নিজেদের করে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন শরীফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা একমাত্র ম্যাচে কোনো প্রতিযোগিতাই করতে পারেনি রিয়াদের দল। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখতে পারবেন তো সাকিব আল হাসানের দল?