উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনের মধ্যে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি ১৩ তলা ভবনে ইসরাইলের হামলার জবাবে তেল আবিব শহরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। তারা ১৩০টি রকেট ছুড়েছে তেল আবিব লক্ষ্য করে। এ খবর জানানো হয় বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ভবনটিতে হামলা চালানোর আগেই ভবনের বাসিন্দা ও স্থানীয় লোকজনকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের সামরিক বাহিনীর রকেট হামলায় তেল আবিবের পার্শ্ববর্তী লড শহরে একটি মেয়ে শিশু ও এক পুরুষসহ দুই ইসরাইলি নিহত হয়। তাদের এ হামলার প্রতিবাদে সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইসরাইলের লড শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। আলজাজিরা আজ বুধবার (১২ মে) ভোরে এ খবর জানিয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদক হ্যারি ফকেট জানান, রমজান মাসে শহরে সহিংসতার বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে, যা খুবই বিপজ্জনক।
আলজাজিরার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেল আবিব শহরের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু শীর্ষ কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আলোচনা করে কঠোরভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার নির্দেশ দেন।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়ক টর ভেনেসল্যান্ড টুইট বার্তায় পরিস্থিতি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘অবিলম্বে এই আগুন বন্ধ কর।’
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে আল আকসায় পবিত্র জুমাতুল বিদায়ে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গেল কয়েক বছরে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা।
এর আগে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট জানায়, ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন ৭শ’রও বেশি। আর ফিলিস্তিনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় কমপক্ষে ৩৫ জন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলে ৫ জন নিহত হয়েছেন।