fbpx

ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি,রাজধানী ছাড়তে চায় নিম্নবিত্তরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রোজা শুরু হতে বাকি মাত্র এক মাস। কিন্ত এরই মাঝে বেড়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। সাধারণ মানুষের দাবি, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছেন। আর ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজ, চাল ও মুরগির দাম বেড়েছে।

কিন্ত যে হারে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে, সে হারে আয় বাড়ছে না সাধারণ মানুষের। তাই জীবন যাত্রার মান রক্ষায় একরকম হিমশিম খেতে হচ্ছে সমাজের নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) থেকে জানা গেছে, চাল, ব্রয়লার মুরগি, ভোজ্য তেল, চিনি ইত্যাদির বাড়তি দাম থাকায় জানুয়ারি তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হয়েছে ৫.৩২ ভাগ। যা জানুয়ারিতে ছিল শতকরা ৫.০২ শতাংশ। জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ০.৩০ শতাংশ।

চাল, ব্রয়লার মুরগি, ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদির মূল্য চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে। আলু,পেঁয়াজ, শাক-সবজি (বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, টমেটো, গাজর ইত্যাদি), ফল (আঙুর, বরই ইত্যাদি) এবং মশলা (জিরা, দারুচিনি) ইত্যাদির মূল্য জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে কমেছে।

গত এক বছরের (২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে শতকরা ৫.৬৩ ভাগ। পূর্ববর্তী একই সময়ে (২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে শতকরা ৫.৬০ শতাংশ।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বাজারে প্রায় সব ভোগ্যপণ্যের দামই চড়া। নতুন করে এই তালিকায় আবার নাম লিখিয়েছে পেঁয়াজ। কেজিতে এর দাম বেড়েছে ১০ টাকা। একইসঙ্গে বেড়েছে চালের দামও।

আর ভোজ্য তেল ও মুরগির দামও চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে। ফলে বিপাকে পড়েছে সীমিত আয়ের মানুষ। তারা বলছেন, যে হারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, রাজধানী ছেড়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পেঁয়াজ এখন কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা দোকান থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুণতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। আর বাছাই করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে ।

আর ব্যবসায়ীদের দাবি, শীতের শুরুর দিকে বাজারে আসা পেঁয়াজের সরবরাহ শেষের দিকে। এজন্যই দাম বাড়তির দিকে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যই বলছে, গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৬ শতাংশ। নতুন করে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা। খুচরা দোকানে নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬৫ টাকা এবং মাঝারি বিআর-২৮ চাল ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত এক সপ্তাহে স্বর্ণা, চায়না অর্থাৎ মোটা চালের দাম বেড়েছে ১.৫ শতাংশ। এই এক সপ্তাহে পাইজাম ও লতা অর্থাৎ মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ১.৮৫ শতাংশ এবং নাজিরশাইল ও মিনিকেট তথা চিকন চালের দাম বেড়েছে ০. ৮০ শতাংশ। এছাড়া কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তে থাকা মুরগির দাম কমছে না।

এছাড়া খুচরা বাজারে সোনালিকা জাতের মুরগি প্রতি কেজি ৩১০-৩২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৫৫ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪২০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply