দীর্ঘদিন ধরে লার্নার কার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অথচ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না এমন ভুক্তভোগির সংখ্যা কম না। আবার অনেকেই নতুন করে লাইসেন্স নবায়ন করলেও নতুন কার্ড পাননি। তবে অবশেষে প্রতিক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের নতুন কার্ড পেতে যাচ্ছেন ড্রাইভাররা।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি- ‘বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ১১ ফেব্রুয়ারি এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই লাইসেন্সের খসড়া প্রিন্ট শুরু হয়েছে। কার্ডের মান এবং প্রিন্ট কোয়ালিটি চুক্তি অনুযায়ী হতে হবে।’
গুণগত এবং স্মার্ট কার্ডের বৈশিষ্ট্য যা যা থাকার কথা তার কোনোটির সাথেই আপোষ করা যাবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর যেন দেরি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে মনিটর করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত কার্ড সংগ্রহ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে এবং মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে হবে।’
২০১১ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে ইলেক্ট্রনিক চিপযুক্ত ডিজিটাল স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া শুরু করে বিআরটিএ। বর্তমানে ২৭ লাখ ২২ হাজার স্মার্ট লাইসন্সেধারী চালক আছেন। আর প্লাস্টিক কার্ড রয়েছে প্রায় এক লাখ চালকের। টাইগার আইটি নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রথম দফায় ১৩ লাখ ২২ হাজার এবং দ্বিতীয় দফায় পাঁচ বছরে ১৫ লাখ জন্য স্মার্ট লাইসেন্স সরবরাহ করে।
বিআরটিএ জানিয়েছে, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ির চাপে ২০১৯ সালের শুরুতেই ১৫ লাখ স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণ শেষ হয়ে গেছে।
বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, সাড়ে সাত লাখের বেশি চালক স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের অপেক্ষায় আছেন।