মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। এরইমধ্যে, শিমুলিয়া বন্দরের ৪টি ঘাটের ২টির পন্টুন প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউয়ের আঘাতে সরে গেছে। তাই দুইপাড়ের ৬শ’র বেশি যানবাহন এখন রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানায়, নদীতে প্রবল ঢেউ আর স্রোত থাকায় ফেরিগুলো হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিচ্ছে। এ কারণে দুর্ঘটনা এড়াতেই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যে সাতটি ফেরি চলাচল করছিল, সেগুলো দুই ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। বাকি ফেরিগুলোও নোঙর করা রয়েছে। আবহাওয়া ভালো হলে আবারও ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিসি।
এদিকে, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ফিরতে শুরু করেছে কর্মস্থলে। কিন্তু, ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাটের জরুরি ও পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়াও শতশত মানুষ রয়েছে এখন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায়।
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। যা এখন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরের স্থলভাগে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলো ও দেশের উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।