গুগল এবং ফেসবুকের বিরোধীতা স্বত্বেও নিউজ আউটলেট প্রদানের প্রস্তাবিত আইন পরিবর্তন করবে না অস্ট্রেলিয়া। দেশটির এক প্রবীণ আইনজীবী সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
দেশটির এই আইন নিয়ে এরই মধ্যে বেশ তোলপাড় চলছে। ফেসবুক এই আইনের তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছে। এমন কী সেখানে গত সপ্তাহে ফেসবুকের নিউজ দেখতে পাচ্ছিলেন না অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা। যেখানে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো নিউজ কনটেন্ট দেখা বা তা শেয়ার করার সুযোগ আটকে দিয়েছিল।
সেখানকার বাসিন্দারা ফেসবুকে ঢুকে দেশীয় ও বিদেশি সংবাদ সাইটগুলোর ফেসবুক পেজ খুঁজতে গিয়ে দেখেন সেগুলো বন্ধ। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য, জরুরি সেবা ও অন্যান্য খাতের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজও বন্ধ দেখা যায়।
তবে সোমবার সিনেটের উচ্চসভায় এই আইন নিয়ে আলোচনার পর অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র আইন প্রণেতা জানিয়েছেন, এটি নিয়ে আর কোনও সংশোধন করা হবে না।
অস্ট্রেলিয়ার অর্থ মন্ত্রী সাইমন বার্মিংহ্যাম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেছেন, “বিলটি যেমন দাঁড়ায় … সঠিক ভারসাম্য পূরণ করে।”
আইনগুলি বেসরকারী আলোচনায় ব্যর্থ হলে কনটেন্ট লাইসেন্স ফি নির্ধারণের জন্য সালিস নিয়োগের অধিকার সরকারকে দেবে। বিলটির বর্তমান অবস্থা এটি নিশ্চিত করে যে, অস্ট্রেলিয়ার নিউজ কনটেন্ট দেশটির সংবাদ সংস্থা দ্বারা সংগ্রহ করা হবে এবং কোনো নিউজের জন্য টাকা পরিশোধ করতে হবে তা আইনসম্মতভাবেই করা হবে বলেও জানান তিনি।
গুগল এবং ফেসবুক উভয়ই আইনবিরোধী প্রচার চালালেও গুগল গত সপ্তাহে শীর্ষ অস্ট্রেলিয়ান আউটলেটগুলোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। রুপার্ট মারডোকের নিউজ কর্পোরেশনের সাথে এই চুক্তি করেন।
এ প্রসঙ্গে বার্মিংহাম বলেন, ‘গুগল ইতিমধ্যে যা করেছে তা ফেসবুক না করতে পারার কোনো কারণ নেই।’ এদিকে ফেসবুকের একজন প্রতিনিধি সোমবার এই আইনটি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।