fbpx

ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ট্রাম্পকে ঘিরে নানা জল্পনা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে নানা জল্পনা। তাকে কোন প্রক্রিয়ায় আদালতে আনা হবে সেটাই এখন আলোচনার মূল বিষয়।

আগামী মঙ্গলবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেলে ট্রাম্পের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— আশা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার আত্মসমর্পণের আগে ট্রাম্প সোমবার তার ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে আসবেন। উড়োজাহাজে তার নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন।

সাবেক প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার বিষয়টি সমন্বয় করছে এফবিআই, নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ, সিক্রেট সার্ভিস ও নিউইয়র্ক সিটি আদালতের কর্মকর্তারা।

ট্রাম্পের এ ঘটনা ঘিরে ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি কার্যালয় ‘অনেক হুমকি’ পেয়েছে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সংযোগ আছে— এমন অভিযোগে ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড জুরি তাকে অভিযুক্ত করলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।

গতকাল ট্রাম্পের এক আইনজীবী জানান, ট্রাম্প নিজেও এখনো সেই অভিযোগপত্র পড়তে পারেননি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্টকে হাতকড়া পরানো হবে না। যারা পালানোর চিন্তা করতে পারেন বা নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করা হয়, সেসব সন্দেহভাজনদের হাতকড়া পরানো হয়।

ট্রাম্পের আইনজীবী জো ট্যাকোপিনা মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে বলেন, ‘সম্ভবত’ আগামী মঙ্গলবার ট্রাম্পকে আদালতে আনা হবে।’

তবে ‘কোনো কিছুই নিশ্চিত না,’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাম্পকে কি গ্রেপ্তার করা হবে?

ট্রাম্পের আইনজীবীদের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। তার বিচার প্রক্রিয়া ম্যানহাটনে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয়ে হতে পারে।

এমন প্রক্রিয়ার মধ্যে সাধারণত থাকে— নথিপত্র গোছানো, আঙুলের ছাপ, মুখের ছবি ও ফৌজদারি অভিযোগের চুলচেরা বিশ্লেষণ।

যখনই ট্রাম্পকে ‘আন্ডার অ্যারেস্ট’ বলা হবে, বা যখনই পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে তাদের হেফাজতে নেবেন এরপর তিনি আর মর্জি মাফিক চলতে পারবেন না।

আত্মসমর্পণ না করলে যা হতে পারে

সংবাদমাধ্যম ফোর্বস জানিয়েছে, আশা করা হচ্ছে ট্রাম্প আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করবেন। কিন্তু, তিনি যদি তা না করেন বা ফ্লোরিডায় থেকে যান তখন আদালত বা ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিসের অনুমতি নিয়ে তাকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হবে।

ফ্লোরিডার গভর্নর রন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টিতে ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

অভিযোগের বিষয়ে যা হতে পারে

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার আদালতে নেওয়া হলে সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে পড়ে শোনানো হবে। এরপর এ নিয়ে ট্রাম্প বা আইনজীবী তার পক্ষে আবেদন করতে পারবেন।

তারপর ট্রাম্পকে পরবর্তী শুনানির তারিখ দেওয়া হতে পারে।

এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ট্রাম্পের মামলাটি পরিচালনা করবেন বিচারক জুয়ান মেরচ্যান। সম্প্রতি তিনি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কর জালিয়াতি মামলার শুনানি করেছেন। তবে মামলাটি বিচারের দিকে গড়ালে তা অন্য বিচারকের কাছে যেতে পারে।

ট্রাম্পকে কি কারাগারে নেওয়া হবে

ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য মতে, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে জামিনের নতুন নিয়ম অনুসারে ট্রাম্প আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত হওয়ার পর জামিন পেতে পারেন।

নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতা

এনবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। কেন না, কোনো আসামি বা কোনো চলমান মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিষয়ে দেশটির সংবিধানে কিছু বলা নেই।

ট্রাম্প কি বিচারকাজের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবেন?

প্রত্যেক অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার অধিকার রাখেন। কিন্তু, ট্রাম্প আইনজীবীদের হুমকি দিতে পারবেন না।

অন্যদিকে, বিচারকরা ট্রাম্পের মুখ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিতে পারেন। কেন না, ইতোমধ্যে তিনি বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন। এমনকি, তাকে অভিযুক্ত করা হলে তিনি ‘ধ্বংসাত্মক’ আন্দোলন শুরুর হুমকিও দিয়েছিলেন।

কতদিন চলতে পারে বিচার কাজ?

সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্পের এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ দিন ধরে চলতে পারে। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের প্রমাণাদি জড়ো করেছে। সেখানে বিচারকদের কথা ও সম্ভাব্য প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য আছে। অন্যদিকে, ট্রাম্পের আইনজীবীরা খুব সম্ভবত মামলাটির বিচার শুরুর আগেই আইনগতভাবে তা বাতিলের আবেদনও করতে পারবেন।

অভিযুক্ত হলে ট্রাম্প কি জেল খাটবেন?

এনবিসি জানিয়েছে, তত্ত্বগতভাবে এর উত্তর, হ্যাঁ। বাণিজ্যিক জালিয়াতি ধরা পড়লে তার ৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply