২০২১ সালে অনুষ্ঠেয় একুশে বইমেলা না করার জন্য সরকারকে প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দেয়া এ প্রস্তাবনার বিষয়ে সরকারের উচ্চমহল থেকে দুই একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। আরো জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে যে কোনো মাসে তা সরাসরি আয়োজন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে একুশে বইমেলা না করার প্রস্তাবনা দেয়া হলেও এরইমধ্যে স্টল বরাদ্দসহ বেশকিছু প্রক্রিয়া এগিয়ে গেছে। স্টল বরাদ্দের জন্য ৯৬৭টি স্টলের মধ্যে ৪০টি স্টলের টাকা জমা দেয়া হয়েছে। এমনকি, বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা একুশে বইমেলা উপলক্ষে বহুসংখ্যক বই ছাপানোর কাজও শেষ করেছে এবং প্রচুর বই ছাপানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবার বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে অনলাইনে একুশে বইমেলা করার জন্য প্রকাশনী সংস্থাগুলো এবং প্রকাশক সমিতিকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে অনলাইনে বই বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনার কারণে প্রকাশনী সংস্থাগুলো ও প্রকাশক সমিতি এই প্রস্তাব মেনে নিতে নারাজ।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বছরের এই একটি মেলা থেকেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বই বিক্রি হয়ে থাকে, যা অনলাইনের মাধ্যমে হলে অনেক ছোট-খাটো প্রকাশনী সংস্থা তাদের ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিশ্বস্ত ওই সূত্র আরো জানায়, আগামী রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমি ও প্রকাশক সমিতি যৌথভাবে আলোচনা করে সবার জন্য অনুকূলে হয় -এমন সিদ্ধান্ত নেবে বলে কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই হঠাৎ করে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বই মেলা না করার প্রস্তাবনা দেয়া হল।
বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবনা দেয়ার কারণে একুশে বইমেলার ভাগ্য এখন অনিশ্চিত। তবে বইমেলা আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কিনা, নাকি প্রথমবারের মতো এবার অনলাইনেই মেলা অনুষ্ঠিত হবে- এ বিষয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সরকারের উচ্চ মহল থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।