fbpx

বঙ্গবন্ধুর ওপর জাপানি আর্ট গ্রাফিকস ‘মাঙ্গা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানি চিত্রকলার (গ্রাফিকস নোবেল জাপানিজ ‘মাঙ্গা’ ফর্মে) একটি কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু’ নামের বইটির মোড়ক  উন্মোচন করা হয়।

বইটি যৌথভাবে লিখেছেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম এবং শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা। বইটি প্রকাশ করেছে এনআরবি স্কলার্স পাবলিশার্স লিমিটেড।

জাপানিদের কমিক ও কার্টুন ধাঁচের চিত্রকলার একটি ধরন হচ্ছে মাঙ্গা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রাম মাঙ্গা ফর্মে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বর্ণনা এবং ব্যতিক্রমী ছবিতে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে একই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্মের কথা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বইটিতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথার মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় অবদানের ফলে বাংলাদেশ যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, সে কথাও বলা হয়েছে। ব্যতিক্রমী বইটি পাঠ করে পাঠকেরা জানতে পারবে বাংলাদেশের কাহিনি এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক ফখরুল আলম বলেন, বাংলা, ইংরেজি ও জাপানি—তিন ভাষায় বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। জাপানের জনপ্রিয় মাঙ্গা ফর্মে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই প্রকাশের ফলে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, এটা অত্যন্ত অর্থবহ ও শিক্ষণীয় যে শিশুরা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের কাহিনি মাঙ্গার মাধ্যমে জানতে পারবে। ইংরেজি, বাংলা, এমনকি জাপানি ভাষায় বইটির প্রকাশনা জাপানি শিশুদেরও জানার সুযোগ করে দিয়েছে। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে জাপানিদের ধারণা আরও গভীর করবে। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে জাপানের স্বীকৃতি প্রদান এ প্রকাশনার উপলক্ষ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply