চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নিচে সুড়ঙ্গপথ বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় চ্যানেল খুলে দেওয়া হচ্ছে আগামী শুক্রবার (৮ অক্টোবর)। এর ফলে, কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে যান চলাচলে আর কোনো বাধা থাকছে না।
আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
নির্ধারিত সময়ের বহু আগেই প্রকল্পের উদ্বোধন হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের ২২ ডিসেম্বর এটা চালু করার কথা ছিল। তবে, আগামী শুক্রবার রাতে অন্যতম মেগা ও স্বপ্নের এই প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় চ্যানেলের মুখ খুলে দেওয়া হবে। একটা চ্যানেলের মুখ আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার মধ্যরাতে দু’টোর নির্মাণ কাজই শেষ হবে।
এর আগে, সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ‘একনেক’ সভায় বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় চ্যানেলের মুখ শুক্রবারই খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানালেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী সভায় কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির জন্য বিরক্তি প্রকাশ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘অবসরে গেলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে গাফিলতির শাস্তি থেকে রেহাই পাবেন না কোনো কর্মকর্তা’।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রথম কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণ শুরু হয় ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেলের। এ সুড়ঙ্গটি নির্মাণকাজ শেষ হলে নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে তা সংযুক্ত করবে। আর যুক্ত হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কও।
এই টানেলে ৪ লেন দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এছাড়া, মিয়ানমার হয়ে প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত হওয়াসহ ৭টি লক্ষ্য নিয়ে চলছে এই নির্মাণকাজ।
চীনের অর্থায়নে ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ টানেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৭শ’ ৫ মিলিয়ন ডলার। আর জমি অধিগ্রহণ এবং প্রশাসনিক ব্যয় বহন করছে বাংলাদেশ সরকার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২২ সালের মধ্যে ১০ হাজার ৩শ’ ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ের কর্ণফুলী টানেল নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।