বাংলাদেশকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীন করেছিলেন জাতির পিতা। ১৯৬১ সালের ১ মার্চ আজকের এই দিনে আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেখানে বসে ছয় দফা রচনা করেন তিনি। সেই দিনটি স্মরণ করেই ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালন করা হয়।
এবারের বীমা দিবসের শ্লোগান, “মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার”।
সোমবার (১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বীমা দিবস-২০২১’ র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী এসময় ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ চালু করে বলেন, এই বীমায় বার্ষিক ৮৫ টাকা দিয়ে একটি পলিসি করা যাবে। এ বীমার ক্ষেত্রে নতুন বিবাহিত দম্পত্তিরা তাদের ভবিষ্যত সন্তানদের জন্য ‘কাপল বীমা’ করলে পরবর্তীতে তাদের সন্তানদের শিক্ষা সমাপনী পর্যন্ত আর কোন সমস্যায় যেন পড়তে না হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া, এই বীমায় একজন খেলোয়াড়ও বার্ষিক ২৮৫ টাকা দিয়ে পলিসি করে নিজের জীবন সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। এমনকি, প্রবাসীদের জন্যও বীমার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সরকার প্রধান এ সময় বীমার প্রিমিয়াম জমা দেওয়া ও ক্ষতি নিরূপণে যেন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তার পরামর্শ দিয়ে বলেন, মানুষ বীমা সম্পর্কে আরো আস্থাশীল হয়ে যেন বীমার সুফল ভোগ করতে পারে, সেজন্য বীমা পদ্ধতিকে আরো আধুনিক ও সব ধরণের আইন ঠিক করে গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বীমার সুফল নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে দেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে। সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গ্রাহকরা তাদের পাওনা সহজে পাওয়ার পাশাপাশি যেন বীমায় সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এছাড়া, এ খাতে দুর্নীতির বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান দেশনেত্রী।
‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সনদপ্রাপ্ত ও শিক্ষা বীমাপ্রাপ্তদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি করোনার কারণে নিজের হাতে সম্মাননা তুলে দিতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা আবারো সবাইকে মনে করিয়ে দেন, টিকা নেয়ার পরও সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখেন।
বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে এসময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ইনস্যুরেন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন ও আর্থিক বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।