fbpx

বনায়ন প্রকল্পের জন্য বিজ্ঞানীদের পরামর্শ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বৃক্ষরোপনের জন্য ১০টি গোল্ডেন রুলসের প্রস্তাবনা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী এক দশক এই বিধি পালনে সব দেশকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান যুক্তরাজ্যের রয়াল বোটানিক গার্ডেনসের বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এই নিয়ম কার্যকারি হবে। তবে ভুল স্থানে ভুল গাছ লাগালে তা ভালোর থেকে খারাপই বেশি করবে।

বিধিগুলোর প্রথমেই রয়েছে বনগুলোকে রক্ষা করা। এবং এই কাজে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা। কারণ জীবনের জন্য বন অপরিহার্য। আর বিশ্বের প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ কার্বন ডাই অক্সাইডই গাছ শুষে নেয়। গাছ মানুষসহ অন্য প্রাণীদের খাদ্য সরবারাহ করে, জ্বালিনী ও ওষুধের ব্যবস্থা- সেও ওই গাছের থেকেই আসে।

তবে এত কিছুর পরও প্রাণীকুলের পরম বন্ধু, বেঁচে থাকার রসদ এই গাছের সংখ্যা দিন দিনই কমে আসছে। ডেনমর্কের প্রাচীন গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনের আকারের একটি অঞ্চল প্রতি বছর হারিয়ে যায়।

বনায়ন প্রকল্পের জন্য বিজ্ঞানীদের পরামর্শ

জলাভূমির মতো জায়গাতে বনায়ন করা যায়।

রয়াল বোটানিক গার্ডেনসের গবেষক ড. পাউল স্মিথ বলেন-
‘ঠিক জায়গায় ঠিক গাছ লাগানো সব জাতির জন্য অবশ্যই প্রথম অগ্রাধিকার হতে হবে। কারণ আমরা আমাদের গ্রহের ভবিষ্যতের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দশকের মুখোমুখি হয়েছি।’

বিজ্ঞানীদের নির্ধারিত গোল্ডেন রুলসগুলো হচ্ছে

বন রক্ষা
পুরোনো বনের নতুন বনের থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ক্ষমতা বেশি থাকে। তাই বনাঞ্চল রক্ষার আরও বেশি সচেতন হতে হবে। আরজিবি’র পরিচালক প্রফেসর অ্যালেক্সজেন্ডার অ্যান্তোনেলি বলেন- ‘আমরা জোর দিয়েছি বন উজাড় করা বন্ধ করার ওপার। একই সাথে অবশিষ্ট বন রক্ষার বিষয়টি অবশ্যই একটি অগ্রাধিকার হতে হবে।’

বন রক্ষায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা
গবেষণায় দেখা গেছে, স্থানীয় কমিউনিটি গাছ লাগানো প্রকল্পগুলোর সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। এতে যারা বন দেখাশুনা করেন তাদের সবচেয়ে বেশি লাভ হতে পারে।

বনায়নের জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন করা
এমন  জায়গা বনায়নের জন্য নির্বাচন করতে হবে যেখানে ঐতিহাসিকভাবে বন ছিল। তবে কোনো কারণে তা এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়াও  প্রাকৃতিক কোনো আবাসস্থল, তৃণভূমি বা জলাভূমিরর মতো জায়গাতে বনায়ন করা যায়।

বনায়ন প্রকল্পের জন্য বিজ্ঞানীদের পরামর্শ

ভুল স্থানে ভুল গাছ লাগালে তা ভালোর থেকে খারাপই বেশি করবে।

সম্ভব মতো প্রাকৃতিক বন ব্যবহার
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া বা বেড়ে ওঠা গাছাই বনায়নেরে জন্য ভাল। এইসব গাছ একই সাথে সস্তা ও বেশি কার্যকারি হয়।

সঠিক গাছ নির্বাচন করা
যেখানে গাছ লাগানো প্রয়োজন, সেখানের জন্য উপযোগী গাছটিই লাগাতে হবে। বিজ্ঞানীরা স্থানীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া গাছের প্রজাতির সংমিশ্রণের পরামর্শ দেন। কিছু বিরল প্রজাতি ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে এমন গাছ লাগাতে হবে। তবে আক্রমণাক্তক হতে পারে, বা অন্য গাছের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে  এমন গাছ লাগানো এড়িয়ে যেতে হবে।

জলবায়ুর সাথে খাপ খাওয়াতে পারে এমন গাছ নির্বাচন
স্থানীয় আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত গাছ ও  বীজ ব্যবহার করতে হবে।

পরিকল্পনা
গাছ ও গাছের বীজ কোথায়, কীভাবে পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে পরিকল্পনা করে রাখতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়েই এই পরিকল্পনা করতে হবে।

করতে করতে শেখা
বিজ্ঞানীদের মতমত ও স্থানীয়দের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বনায়নের জন্য বড় প্রকল্প নেয়ার আগে ছোট পরিসরে কাজ করে দেখতে হবে।
পারিশ্রমিক
স্থায়ী বনায়নের জন্য এই কাজের সাথে সম্পৃক্তদের পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক গুরত্ব আছে বা যেসব গাছ থেকে অর্থ আসবে সে সব গাছ লাগাতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply