অভিনেত্রী শিমু হত্যায় স্বামী নোবেলের সাথে বন্ধু ফরহাদ জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, রবিবার সকালে শিমুর সাথে ঝগড়া হয় নোবেলের। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় নোবেলকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ফরহাদ। পরে দু’জন মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শিমুকে। পরে তারা পরিকল্পনা করে শিমুর মরদেহ কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় ঝোপের ভেতর ফেলে আসে।‘
অন্যরুমে ঘুমিয়ে থাকার কারণে ঝগড়া এবং হত্যার কোন কিছুই টের পায়নি শিমুর ১৭ বছরের মেয়ে ও পাঁচ বছরের ছেলে।
উল্লেখ্য, হত্যার পরেরদিন অর্থাৎ সোমবার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর সেতুর কাছে রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিমুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে। পরে স্বজনরা এসে শিমুর মরদেহ শনাক্ত করে।