fbpx

বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ প্লাস্টিক!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রতিদিন আমরা যে মাছ, মাংস, শাক সবজি খাচ্ছি, তা থেকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। আর এই ক্ষতিকর উপাদান আসছে প্লাস্টিক অথবা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা পণ্য থেকে। গা শিউরে উঠার মতই ব্যাপার।

পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এসডো জানিয়েছে, দৈনন্দিন ব্যবহারের প্লাস্টিকের যেকোন পণ্য মাটিতে বা পানিতে ফেলে দেওয়ার পর তা সূর্যের তাপে ক্ষয় হয়ে ছোট ছোট টুকরোতে পরিণত হয়ে মাটিতে থেকে যায়। নদী বা সাগরে ফেলা প্লাস্টিক পণ্যের ছোট ছোট কণা সমুদ্রের তলদেশে জমা হবার পাশাপাশি জায়গা করে নেয় মাছের পেটে। তাতে মাছের বন্ধ্যাত্বসহ হতে থাকে নানারকম জটিলতা।

এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল পলুটেন্টস এলিমিনেশন নেটওয়ার্ক আইপেন এবং ইন্টারন্যাশনাল পেলেট ওয়াচ আইপিডব্লিউ, বাংলাদেশ সহ ৩৫টি দেশকে সাথে নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দুই বছরব্যাপী একটি গবেষণা পরিচালনা করে। সেই গবেষণায় অংশ নিয়ে এসডো কক্সবাজারের কয়েকটি সৈকত থেকে প্লাস্টিকের কণা ও চিপস সংগ্রহ করে পাঠায় জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে। দুটি ল্যাব থেকে আসা রিপোর্টে দেখা যায়, প্লাস্টিকের প্রতিটি কণাতেই পাওয়া গেছে ১৮ রকমের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। যার মধ্যে ১২টি উপাদান মানবদেহে ঘটাতে পারে মারাত্মক ক্ষতি।’

প্লাস্টিকের ভয়াবহতা নিয়ে ড. শাহরিয়ার আরও বলেন, ‘২০২০ সালে প্লাস্টিক নিয়ে আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদনে এসডো জানিয়েছে, নদীতে থাকা মাছের পেটে ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা পাওয়ার পাশাপাশি গৃহপালিত হাস মুরগির পেটেও পাওয়া গিয়েছিল প্লাস্টিক। এসব কণা খাওয়ার কারণে প্রাণীরা যেমন প্রজনন ক্ষমতা হারাচ্ছে, তেমনি মানুষের পেটে যাওয়ার ফলে মানবদেহে হরমোনাল সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, মস্তিষ্কে প্রতিবন্ধকতাসহ তৈরি করছে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি।’

প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েকটি সুপারিশ প্রস্তাব করেছে এসডো এবং আইপেন।

১. প্লাস্টিক উৎপাদনে বিষাক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে,

২. উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের পুন:ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে,

৩. যারাই প্লাস্টিক উৎপাদন করবেন, তাদেরকেই প্লাস্টিক বর্জ্যের দায়িত্ব নিতে হবে,

৪. বর্জ্র রপ্তানি ও পুড়িয়ে ফেলা একেবারে নিষিদ্ধ করতে হবে।

নদী বা সমুদ্রে প্লাস্টিক ফেলা বন্ধ করার জন্য জাতীয়ভাবে আইন করে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও সচেতনতামূলক সমঝোতার প্রয়োজন, বলছে পরিবেশবাদীরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply