জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ও সার্বিক পরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আধুনিক প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নবীন বন কমকর্তাগণকে আত্মনিয়োগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
পরিবেশমন্ত্রী মঙ্গলবার ৩৮তম বিসিএস (বন) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষকদের জন্য চট্টগ্রাম বন একাডেমীতে অনুষ্ঠিত ২ (দুই) মাসব্যাপী ‘ওরিয়েন্টেশন কোর্স’- এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে বনায়নের মাধ্যমে দেশের মোট ভূমির ১৬ শতাংশ বনাচ্ছাদনে উন্নীত করা এবং ২০২৫ সালের মধ্যে বৃক্ষ আচ্ছাদনের পরিমান ২৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানব সম্পদ হিসাবে নিজেদেরকে গড়ে তুলে বনের অবক্ষয় ও উজাড় প্রতিরোধে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর হয়ে কাজ করতে হবে।
বনমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, নব নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষকদের এ ‘ওরিয়েন্টেশন কোর্স’- এর মাধ্যমে লব্ধ জ্ঞান বন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পূর্বক যুগোপযোগী বন ব্যবস্থাপক হিসেবে বনজ সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও ফরেস্ট্রি সেক্টরের বিভিমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, নবীন সহকারী বন সংরক্ষকগণকে আধুনিক বন ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগ নিশ্চিত করে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” এর অগ্রযাত্রায় সামিল হতে হবে। প্রাপ্ত জ্ঞান ও দিক নির্দেশনার আলোকে মেধা, জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োগ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকার গৃহীত নীতিমালা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশমন্ত্রী ২১ জন নবনিযুক্ত সহকারী বন সংরক্ষকদের মাঝে সনদপত্র এবং মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করেন।