fbpx

ববির পর এবার উত্তাল জাবি, অবিলম্বে হল খোলার দাবি শিক্ষার্থীদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রেশ কাটতে না কাটতেই এবার স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া এলাকার স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ওপর এই হামলা চালায়। এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে চলা এ সংঘর্ষ মধ্যরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে প্রশাসনকে হল খুলে দেয়া, এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং প্রক্টরের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায় শিক্ষার্থীরা। আর মানববন্ধনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হবে বলে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

মূলত, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত থেমে থেমে হামলা পাল্টা হামলা চলে। স্থানীয়রা মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

ববির পর এবার উত্তাল জাবি, অবিলম্বে হল খোলার দাবি শিক্ষার্থীদের

ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থীদের মোটর সাইকেল ভাংচুর করে স্থানীয়রা।

ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন- সরকার ও রাজনীতির হিমেল, ম্যানেজমেন্টের নাসিম, জিওলজিক্যাল সাইন্সের বিকাশ, ম্যানেজমেন্টের ইয়াসিন আরাফাত, নৃ-বিজ্ঞানের ইপ্তি, ফিজিকসের সোহাগ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের রুবেল এবং সরকার রাজনীতির জুবায়েরসহ বেশ কয়েকজন।

সংঘর্ষের ঘন্টাখানেক পরে কয়েকজন পুলিশ এসে  কমপক্ষে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুঁড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সংঘর্ষ বাড়লে দীর্ঘক্ষণ পরে অতিরিক্ত পুলিশ আসে। কিন্তু তারাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়।

ববির পর এবার উত্তাল জাবি, অবিলম্বে হল খোলার দাবি শিক্ষার্থীদের

মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ থাকায় যেসব শিক্ষার্থী গেরুয়ার আশেপাশে ছিলেন, তারা স্থানীয়দের হামলার ভয়ে আতঙ্কে ভুগছেন। নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রাতেই হল খোলার দাবি জানিয়েছে তারা।

তবে প্রশাসনকে অনেকটা নির্বাক ভূমিকায় দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা একরকম  আশ্রয়হীনভাবে রাস্তায় অবস্থান করছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় বা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সফল কোনো আলোচনায় বসতে পারেনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। তবে বাইরের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমরা নেব না।”

আশ্রয়হীন শিক্ষাথীদের হলে ওঠার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, “আমি ভিসিকে তাদের থাকার ব্যবস্থা করার বিষয়ে অবহিত করেছি। ভিসি সবার সঙ্গে আলোচনা করে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি (ভিসি) জানিয়েছেন।”

উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় গেইটের বাইরে প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মীদের কিছু করার নেই। আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঠানোর জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছি।”

জাবি মেডিকেলের ইমারজেন্সিতে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাহফুজুল কবির বলেন, “এ পর্যন্ত আমরা ৫০ জনের বেশি আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে ১০/১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।”

এদিকে প্রশাসনের নির্বাক ভূমিকায় ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আজ রাতেই হলে উঠে যাব। কারণ আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। প্রশাসন আমাদের প্রতি উদাসীন মনোভাব দেখিয়ে চলেছে। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নেব।

Advertisement
Share.

Leave A Reply