ঝুম বৃষ্টি কার না ভালো লাগে। আর সেই সাথে হয় যদি গরম গরম খিচুড়ি, তাহলে তো বর্ষাকাল জমে ক্ষীর। কিন্তু এত ভালোলাগার ভেতরও এই বর্ষায় অন্য সমস্যা এসে হানা দেবে আপনার দুয়ারে। ত্বক এবং চুলের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতি হতে পারে এসময় যদি সঠিকভাবে যত্ন না নেন। তেমনি নানা রকম রোগ-ব্যধি সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পেটের গন্ডগোল, ত্বকের ইনফেকশন, চুলে খুশকিসহ নানা রকম সমস্যা লেগেই থাকে বর্ষাকালে। তবে একটু সচেতন হলেই আপনি এসব থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে আপনার সহায় হতে পারে নিমপাতা। রান্নাঘরে নিমপাতা থাকলে অনেক সমস্যা আপনাআপনি সমাধান হতে পারে। জেনে নিন কিভাবে।
ত্বকের সমস্যা সমাধানে
র্যাশ বা ছোটখাটো ইনফেকশন কমাতে নিমপাতা ফুটিয়ে সেই পানিতে গোসল করুন, উপকার পাবেন। ব্রণের সমস্যা দূর করতে নিমপাতা এবং চন্দন একসঙ্গে বেটে মুখে লাগাতে পারেন। বর্ষায় আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঘাম বেশি হয়। ত্বক থেকে তেলও বেশি বের হয়। ফলে গোসলের পানিতে কয়েকটা নিমপাতা ফেলে গোসল করলে উপকার পাবেন। নিমপাতার অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল গুণ ত্বকের সব রকম সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি নিমপাতা ফোটানো পানি একটা বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে সেটা টোনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
আবহাওয়া বদলের সাথে সাথে চুলপড়া, মাথার তালু শুকিয়ে যাওয়া, খুশকির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রেও নিমপাতা উপকারি। নিমপাতা বেটে মাথায় মাস্কের মতো লাগাতে পারেন। কিংবা নিমপাতা ফুটিয়ে সেই পানিতে চুলও ধুতে পারেন।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
নিম-বেগুন বা নিমপাতা দিয়ে তৈরি যেকোনও খাবারের পদ রাখুন প্রতিদিন। নিমপাতা খেলে পেটের সমস্যা কম হবে। পেট পরিষ্কারও থাকবে। নিমপাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। নিমপাতার রস প্রত্যেকদিন খেলে রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
দাঁতের যত্নে
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বা দাঁত জীবাণুমুক্ত রাখতে নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার। অনেক টুথপেস্ট এবং মাউথওয়াশেই তাই প্রধাণ উপকরণ নিম। অনেকেরই অভিযোগ বর্ষায় দাঁতের শিরশিরানি বেড়ে যায়। তাদের জন্য নিমপাতা উপকারি।