fbpx

বাংলাদেশের প্রস্তাবে ২৫ জুলাই পালন হবে ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২৫ জুলাইকে ‘আন্তর্জাতিক পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার ২৯ এপ্রিল জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

রেজোলিউশনটি উত্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের রেজুলেশন এটাই প্রথম।

রেজোলিউশনটি উত্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মার্তৃমৃত্যু ও অপুষ্টির জন্য যত মানুষ মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় পানিতে ডুবে। বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া, যা প্রতিরোধ করতে এমন একটি রেজোলিউশন জরুরি ছিল বলে আমরা মনে করি। এই রেজোলিউশনটি বিশ্বের সবদেশকে একই অবকাঠামোতে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে। এই প্রচেষ্টায় আয়ারল্যান্ড সরকারের সাথে অংশীদার হয়ে কাজ করার জন্য আমরা গর্বিত।’

দিবসটি ঘোষণার জন্য যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড, পাশাপাশি সমর্থন দিয়েছে ৭৯ টি সদস্য রাষ্ট্র।

রেজোলিউশনে জানানো হয়, গত এক দশকে ২৫ লাখ মানুষ পানিতে ডুবে মারা গেছে, যা ছিল প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে ৪০ শতাংশই শিশু। মোট মৃত্যুর ৯০ শতাংশই ঘটে বাংলাদেশের মতো মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশে। মহাদেশগুলোর মধ্যে এশিয়াতে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন পানিতে ডুবে মারা যায়, যার মধ্যে ৪০ জন শিশু। এই মৃত্যুকে ‘নিরব মহামারী’ হিসেবে চিহ্নিত করতে ও তা প্রতিরোধ করার জন্য বিশ্বব্যপী সচেতনতা বাড়াতে নির্দিষ্ট একটা দিনের দাবি করে আসছিল বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহায়তায় সেই দাবি আলোর মুখ দেখেছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের জেনারেল এসেম্বেলিতে এই বিষয়টি উত্থাপণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।

সিআইপিআরবি’র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর এবং ইন্টারন্যাশনাল ড্রাউনিং রিসার্চ সেন্টার এর ডাইরেক্টর ড. আমিনুর রহমান বলেন “প্রতি বছর ২৫শে জুলাই পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস পালনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এ বিষয়ে অধিক সচেতন হবে এবং যথোপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হবে। এবং এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পানিতে ডুবে মৃত্যু হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply