fbpx

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমানে সমান!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চট্টগ্রামের মতো এক পেসার নিয়ে বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল এটা বলা যাবে না, পার্টটাইমার সৌম্য সার্ভিস দিতে পারবেন এমন চিন্তাতেই হয়তো স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে মুস্তফিজের জায়গায় আবু জায়েদ রাহী একাদশে। প্রথম ঘন্টায় নতুন বলের ফায়দা তুলতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজদের তেমন কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়নি অনন্ত প্রথম সেশনে। কিছুটা এলোমেলো বোলিংয়ে থিতু হয়ে গিয়েছিল সফরকারিদের ওপেনিং জুটি। বাংলাদেশ ব্রেক থ্রু পায় ২১তম ওভারে। ওভারের চতুর্থ বলে জন ক্যাম্পবেলক এইলবিডব্লিউ করেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। যদিও ওই আউট নিয়ে আছে বিতর্ক। রিভিউ নিয়েও পার পাননি এই ওপেনার, উইন্ডিজেদর রান তখন ৬৬, ক্যাম্পবেল জমা করেন ৩৬ রান। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে ওই এক উইকেট।

পুরো দিনে বাংলাদেশের বোলাররা আতংক ছড়িয়েছিল দ্বিতীয় সেশনে। আর একটু নির্দষ্ট করে বললে দুই পেসার। লাঞ্চ ব্রেকের পরেই যেন একটু নড়েচেড় বসেছিলেন ডাগআউটে বসা বাংলাদেশের ক্রিকেটার আর কোচিং স্টাফ, কারণও ছিলো। রাহী-সৌম্য-রাহী; মোটামুটি শক্ত অবস্থানে থাকা ওয়েস্টইন্ডিজকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন দুইজন। লক্ষ্যনীয়, কোন স্পিনার নন, টি-সেশনে তিন উইকেট তুলে ঢাকা টেস্টের নিয়ন্ত্রন টাইগারদের হাতে দিয়েছেন দুই মিডিয়াম পেসার অথচ একাদশে স্পিনারই তিনজন!!

৭ রান করা শেইন মোসলেকে বোল্ড আউটের পর নিজের দ্বিতীয় উইকেটও পেয়েছেন রাহী। দ্বিতীয় শিকারটাই হয়তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, চট্টগ্রাম টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান কায়েল মায়ার্স। মাত্র ৫ রান করে আবু জায়েদ রাহীর বলে সৌম্যর হাতে ধরা পরেন মায়ার্স।

অবশ্য রাহীর জোড়া আঘাতের মাঝে আরও একটা উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে ৪৭ রানে ফিরিয়েছেন সৌম্য সরকার। নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ব্রাথওয়েটের উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু সৌম্যর মিডিয়াম পেইসে। চা বিরতির আগ পর্যন্ত উইন্ডিজেদর সংগ্রহ ছিল চার উইকেটে ১৪৬ রান।

শেষ সেশনে গিয়ে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়া বোলিং করে বাংলাদেশের বোলাররা। মাত্র এক উইকেট তুলতে পারে তারা। তবে উইকেটটা মূল্যবান। এনক্রুমা বোনার-ব্ল্যাকউড জুটি থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। ৬২ রানের এই জুটিকে বিচ্ছিন্ন করেন তাইজুল। ব্ল্যাকউড আউট হন ২৮ রান করে। জুটি গড়ায় বেশ পটু বোনার। এবার জশুয়া সিলভাকে নিয়ে দিনের বাকি সময়টা পার করে দেন। ৪৫ রানের জুটি হয়েছে তাদের মধ্যে। টানা দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন বোনার। অভিষেক হয়েছিল চট্টগ্রাম টেস্টে।দ্বিতীয় ইনিংস করেন ৮৬ রান। এবারও আছেন সেঞ্চুরির পথে। ৭৪ রান করে অপরাজিত আছেন। আর ২২ রানে নট আউট জশুয়া সিলভা। দিনের শেষভাগে উইকেট না পেলেও উইন্ডিজদের রানের গতিকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডাররা। দিন শেষে এটাই এখন বড় স্বস্তি! আর অস্বস্তি হয়ে থাকলেন এনক্রুমা বনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

উইন্ডিজ ২২৩/৫ ( ব্র্যাথওয়েট ৪৬, ক্যাম্পবেল ৩৬, বোনার ৭৪*) রাহী ২/৪৬, তাইজুল ২/৬৪

Advertisement
Share.

Leave A Reply