fbpx

বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরনার্থী নেবে যুক্তরাষ্ট্র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থীর মধ্যে কিছু সংখ্যককে যুক্তরাষ্ট্র পুনর্বাসন করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশ সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েসের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) একথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েসকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করার কথা বলেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন এর ব্যবস্থা করবেন। যুক্তরাষ্ট্রও কিছু রোহিঙ্গা নেবে বলেও জানিয়েছেন। আমরা অনুরোধ করেছি অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গা নেয়ার জন্য। যুক্তরাজ্য, জাপান এবং বিশ্বের যেকোনো দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতেই আমি বলে থাকি, সবাই যেন কমবেশি রোহিঙ্গাদের নেয়ার ব্যবস্থা করে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে পুরো পৃথিবী থেকে বছরে ১ লাখ ২৫ হাজারের মত শরনার্থী নেবে। এর মধ্যে এশিয়া থেকে নেয়া হবে ৩৫ হাজার। কিন্তু তারা বংলাদেশ থেকে বছরে মাত্র ৩০০-৮০০ রোহিঙ্গা নেবে বলে ধারণা করছি। আগামি ৮ তারিখ প্রথম ধাপে অল্প কিছু রোহিঙ্গা যাবে। কম হোক বেশি হোক, আমরা চাই তারা যেন নেয়। কারণ আমরা চাই রোহিঙ্গারা যেন সুন্দর জীবন পায়।’

এসময় ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের লোকজন সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী হিসেবে যায়। গেল বছর থেকে রোমানিয়ায় আমরা লোক পাঠাচ্ছি। এখানে একটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে রোমানিয়ার ভিসা পেতে দিল্লিতে যেতে হয়। একই অবস্থা হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়ার বেলায়ও হতো। আমাদের অনুরোধে রোমানিয়া ঢাকায় কনস্যুলার অফিস করেছে। তারা আমাদের ১৪ হাজার ভিসা দিয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের দেশের অনেক লোক চলে গিয়েছে। সেখানে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হয়েছে।’

এসময় জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি অনেক আন্তরিক মানুষ। আমাদের দেশের জন্য তিনি অনেক পরিশ্রম করেছেন। তার সহযোগিতায় আমাদের অনেক বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। যার অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। প্রশংসার বিষয় হচ্ছে তারা ঠিক সময়েই কাজ শেষ করছে। আবার অনেক সময় অর্থ ফেরতও দিয়েছেন। আমরা তাকে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক অ্যাওয়ার্ডও দিয়েছি। উনি চলে যাচ্ছেন এটা আমাদের জন্য কষ্টের।’

এসময় বিএনপি’র ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ ঘিরে কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তার কোনো দরকার নেই। আমরা মনে করি না সেদিন বিরাট কিছু একটা হবে। কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করার কারণ নেই।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply