fbpx

বাউল সম্রাটের জন্মদিন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘বাউল সম্রাট’ খ্যাত শাহ আবদুল করিমের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী এই ১৫ ফেব্রুয়ারি।

সিলেটের সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালনী নদীর পাড়ে উজানধল গ্রামে জন্মেছিলেন ক্ষণজন্মা এই বাউল। তার বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান। শৈশব থেকেই একতারা ছিল তার সঙ্গী। বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের তালিম নেন কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছ থেকে।

ভাটি অঞ্চলের মানুষের সুখ-দুঃখ তুলে এনেছেন তিনি তার গানে। নারী-পুরুষের মনের কথা ছোট ছোট বাক্যে প্রকাশ করেছেন আকর্ষণীয় সুরে। তার গান কথা বলে অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে লড়াই করেন তিনি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে। কুসংস্কারপন্থিদের হাতে নানা লাঞ্ছনারও শিকার হন এই বাউল। তবু স্বকীয়তা ছাড়েননি তিনি।

শাহ আবদুল করিম গানের অনুপ্রেরণা পান ফকির লালন শাহ, পাঞ্জু শাহ ও দুদ্দু শাহর দর্শন থেকে। তার লেখা ও সুর দেয়া গানের সংখ্যা ৫০০ এর বেশি। আনন্দ-বেদনা, জনদরদি গানসহ অসংখ্য গণসংগীতের রচয়িতা বাউল শাহ আবদুল করিম ২০০১ সালে লাভ করেন একুশে পদক। এ পর্যন্ত তার ৭টি গানের বই প্রকাশিত হয়েছে।

২০০৯ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম মৃত্যুবরণ করেন। তবু বিনাশ নেই তার সৃষ্টির। আজ তার গান, তার সুরে মাতে বাংলা।

বাউল শাহ আবদুল করিমের জন্মদিন উপলক্ষে উজানধলের বাড়িতে সোমবার দুপুরে মিলাদ মাহফিল, শিরনি বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যার পর বসবে বাউল আসর।

জন্মদিনে অনন্তলোকে থাকা বাউল সম্রাটের প্রতি অগণন শুভকামনা!

Advertisement
Share.

Leave A Reply