বিয়ের একদিন পরই স্বামীর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন নববধূ। ২১ বছর বয়সি এই তরুণীর নাম জান্নাতুল রুবাইয়াত তন্বী। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক থেকে দুই পরিবারের সম্মতিতেই এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আর এ ঘটনায় বর ও কনের পরিবার পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
২০ জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী সাইমের বাড়িতে নিজের শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তন্বী।
তন্বী টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার জরাশাহীবাগ এলাকার অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যাবস্থাপক হাশেম খানশুর এবং বাসাইল সদর ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার বিউটি আক্তারের ছোট মেয়ে। তিনি স্থানীয় জোবেদা রুবেয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার স্বামী পৌর এলাকার পশ্চিম পাড়ার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাদেক আহমেদ সাইম।
জানা যায়,পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দা হিসেবে সাইম এবং তন্বীর পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। পারিবারিক সম্পর্ক থেকেই তন্বী ও সাইম প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান। তবে তন্বীর পরিবার বিষয়টি ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। তাদের উভয়েরই অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তারা কোনোভাবেই তাতে রাজি হয়নি। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়।
তন্বীর দেবর শাকিল খান বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে অনুষ্ঠানিকতা শেষ করলেও মেয়ের পরিবার নাখোশ ছিল। আজ সকালে যখন ভাবী আমাকে এবং আমার ভাই সায়েমকে বাজার করতে পাঠান তখন তাকে খুব বিষণ্ণ দেখাচ্ছিল। ধারণা করছি, সকালে তার বাবা-মার সঙ্গে ফোনে ঝগড়া হয়েছে। সেই থেকেই রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে।
তবে তন্বীর বাবা হাশেম খানশুর বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছি। বিয়ের মাত্র এক রাতের মাথায় মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই মর্মান্তিক এবং এটা স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়া যায় না।
তিনি বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচণায় আমার মেয়েকে প্ররোচিত করা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে মামলার বিষয়ে এগিয়ে যাবো।