fbpx

বিক্রিতে ভাটা তবুও ব্যবসায়ীরা দাম কমাবেন না ইলিশের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গত দুই বছর করোনার কারণে মানুষ ঘরে বসে বৈশাখ উদযাপন করলেও এবার নতুন বছরের আমেজ পুরোদমে ফিরে এসেছে। তাই পান্তা ইলিশ খাওয়ার যে চলন ছিল, তা আবারও ফিরে এসেছে।

প্রতিবছরি ইলিশের দাম এই সুযোগে বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। বেশি দামের এই ভিড়ে তাই ক্রেতাদের ইলিশ কেনা দায় হয়ে পড়ে। এছাড়া বাড়তি চাহিদার কারণে ইলিশ সরবরাহ করাও সম্ভব হয় না।

কিন্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার বাজারে এই মাছের সরবরাহ মোটামুটি, তবে বিক্রি একেবারেই কম। দেশে ইলিশের অন্যতম পাইকারি বাজার চাঁদপুর। সেখানেও এবার বেহাল দশা। বৈশাখ ঘিরে হিমায়িত করে রাখা ১২৭ টন ইলিশ অবিক্রীত রয়ে গেছে।

কিন্ত বিক্রিতে ভাটা পড়লেও দামে ছাড়ছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট বাজার, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে ইলিশের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। এক কেজি বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ কেজি ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে যার দাম ছিল ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল কেজি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলেন, বাজারে ইলিশ পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে তারা বাড়তি ইলিশও এনেছিলেন। কিন্তু বাজার একেবারে মন্দা। হাঁকডাক দিয়েও ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছেন না তারা। কোনো কোনো ক্রেতা দাম জিজ্ঞাসা করেই চলে যাচ্ছিলেন।

চাহিদা কম হওয়ার পরও দাম বেড়েছে কেন, জানতে চাইলে এক বিক্রেতা বলেন, ‘এখন যে ইলিশ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো আগের সংরক্ষণ করা। তাই দাম বেশি।’

দেশে ইলিশের ছয়টি অভয়াশ্রমের মধ্যে পাঁচটিতে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে এখন। গত ১ মার্চ শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম–সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply