রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ে পর্যবেক্ষণ দিয়ে সমালোচিত বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোছা. কামরুন্নাহারকে বর্তমান কর্মস্থল আদালত থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করেছে সরকার।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শ করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার আলোচিত রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার বিচার শেষে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেন। এমনকি, রায় ঘোষণার সময় ধর্ষণ প্রমাণে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষা করার বাধ্যবাধকতার যুক্তি দিয়ে ওই সময়ের পর মামলা না নিতে পর্যবেক্ষণও দেন তিনি।
তার ওই বক্তব্য ন্যায়নীতির পরিপন্থী বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিক্ষোভ করেন মানবাধিকারকর্মীরা।
এরপর আজ রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা আসে। ওই বিচারককে আদালতে না বসার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বলেন, ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন্নাহার রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায় দিতে গিয়ে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, তা ‘মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি’। এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি ভুল নির্দেশনা দেওয়া। ওই বিচারক আইন ও সংবিধান দুটোই লঙ্ঘন করেছেন। সেক্ষেত্রে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল, সেজন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।