বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে দেশের মানুষকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের এই দিনে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে এ শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় দেশের বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম ও বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ বিজয়ের দিনে দেশবাসীকে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের যে শপথ পাঠ করান তা হলো –
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বা।
আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন’।
এর আগে, বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। তার কিছুক্ষণ পর তিনি মঞ্চে উঠে আসেন দেশবাসীকে শপথ বাক্য পাঠ করাতে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা।
গত ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই শপথের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শপথ অনুষ্ঠান আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বিকেল ৪টায় সারা দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ শপথে অংশ নেবেন।
