fbpx

বিদায় বন্ধু আদিত্য!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আদিত্য আমার বন্ধু। আমরা এত ঘনিষ্ঠ ছিলাম যে রেবু আন্টি আদিত্যর খোঁজ নিতে সবসময় আমাকে ফোন দিত। আদিত্যকে নিয়ে কোনো সলাপরামর্শের জন্যেও আমার সাথে কথা বলত। আদিত্যর সাথে আমার অনেক স্মৃতি। সেই স্মৃতিতে মিলেমিশে আছেন গোলাম ফারুক ভাই, সাবটেক্স, ধানমন্ডি লেক, রেবু আন্টি, অঞ্জন’দা, আমাদের ধানমন্ডি ২৬ নম্বরের ফ্ল্যাট, আদিত্যদের ঢাকা ইউনিভার্সিটি কোয়ার্টার আরও কত জায়গা, আরও কত মানুষ…।

আদিত্য কোথাও থাকা মানে অ্যাডভেঞ্চার শুরু, ‘পার্টি অন’! আমার সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে আদিত্যর শিশুর মতো নির্মল হৃদয়টার কথা। যে হৃদয় তার সব বন্ধুর সব প্রচেষ্টার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সহায়ক। সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।

আদিত্যকে আমি চিনি ১৯৯৭-৯৮ থেকে। কিন্তু তেমন ঘনিষ্ঠতা ছিল না। বন্ধুদের মুখে শুনতাম – কবি আদিত্য কবির কত মেধাবী কবি, সাংবাদিকতায় সে নিয়ে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। নিজের সৃষ্টি নিয়ে উদাসীন আদিত্য’র মুদ্রিত পদ্য ও গদ্যের সংখ্যা অপ্রতুল। এদিক ওদিক থেকে ওর কিছু লেখা জোগাড় করে পড়ে আমি মুগ্ধ।

আমাদের বন্ধুত্ব জমে উঠে ২০০০ সালের ঠিক পর। আদিত্য তখন সাবটেক্সটে আরেক প্রচন্ড ডায়নামিক মানুষ ফারুক ভাইয়ের সাথে কাজ করে। ফারুক ভাইয়ের ছিল অডিও-ভিজুয়াল মিডিয়ায় ও প্রিন্টিং এ বিপ্লব ঘটানোর স্বপ্ন আর সেই স্বপ্নের সারথি আদিত্য।

বোহেমিয়ান,সামাজিকতা বিমুখ আদিত্য তখন শুধু ফারুক ভাইয়ের মেধা ও স্নেহের কাছেই বশ মেনেছিল। আদিত্য তখন সাহিত্য রচনা প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। যেকোনো বন্ধু তার কাছে কোনো লেখালেখি থেকে শুরু করে ভিজিটিং কার্ডের ডিজাইন করতে গেলেও স্বভাবসুলভ সৃষ্টিশীল আদিত্য তার ব্যস্ততা থেকে সময় বের করে কাজটা করে দিত। সাহিত্য নিয়ে চলচ্চিত্র নিয়ে ওর সাথে চলতো বিরামহীন আড্ডা। আমার মনের ভূগোল আদিত্য’র চেয়ে আর কে ভালো চেনে!

কবিতা বা চলচ্চিত্র নির্মাণ… যাই করি, বন্ধুমহলের কয়েকজন পাঠক-দর্শক মাথায় থাকে। সেই বন্ধুরা আড্ডার আসর ছেড়ে এক এক করে চলে যাচ্ছে। কারজন্য কাদের জন্য শিল্পের ছলনায় কিছু গোপন ইঙ্গিত রেখে যাবো বুঝতে পারছি না। বিদায় বন্ধু আদিত্য!

সেতু হারানোর শোক

Advertisement
Share.

Leave A Reply