fbpx

বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধে হারাবো গ্রাহক: কোয়াব

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বাদ দিলে গ্রাহক ধরে রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কোয়াব। শনিবার রাজধানীর বনানীতে কোয়াব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সংগঠনটির নেতারা।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিনফিড অর্থাৎ বিজ্ঞাপন প্রচার হয়, এমন বিদেশি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার শুক্রবার থেকে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশের কেবল অপারেটররা।

সংবাদ সম্মেলনে কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘সব বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বাদ দিয়ে শুধু দেশের ৩৪ টি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করে গ্রাহক ধরে রাখা সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘সরকার যে অর্ডার দিয়েছে, আমরা সেটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি। তথ্য মন্ত্রণালয় আমাদের অভিভাবক। কেবল অপারেটরদের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রীর কাছে বিনীত আবেদন করছি, ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত অন্তত যেসব বিদেশি চ্যানেলগুলো বন্ধ আছে, সেই চ্যানেলগুলো যেন আমরা পুনরায় সচল করতে পারি, সে ব্যাপারে যেন তিনি একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেন।‘

এভাবে চলতে থাকলে গ্রাহক ধরে রাখা সম্ভব হবে না জানিয়ে আনোয়ারা পারভেজ বলেন, ‘মানুষ কিন্তু বসে থাকবে না। সুইচ করবে, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাবে। এই সুইচ করার সুযোগে কেবল টিভি নেটওয়ার্কের ব্যবসা যদি রাস্তায় বসে যায়, আমরা যদি এই সেক্টরে জড়িত মানুষকে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিই, তাহলে এর দায়ভার কে নেবেন?’

সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন সোহেল বলেন, ‘দর্শকের বিনোদন চাহিদা পূরণ করার জন্য শুধু টিভি একমাত্র মাধ্যম না। এখন নেটফ্লিক্স, হইচই-এর মতো হাজারও প্ল্যাটফর্ম আছে, যার মাধ্যমে সম্প্রচার মাধ্যমের কনটেন্ট সরাসরি কাস্টমারের কাছে যাবে। যে কোনো মাধ্যমে গ্রাহক তার চাহিদা পূরণ করে নেবে। কেউ নেটফ্লিক্স দেখবে, কেউ জি-ফাইভ দেখবে।‘

কোয়াব ক্লিনফিডের বিপক্ষে না জানিয়ে সাবেক সভাপতি আরও বলেন, ‘ক্লিনফিড আমরা অবশ্যই চাই। আমরা বিপক্ষে না। আমরা ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি, আইন অনুযায়ী আমাদের ক্লিনফিড সরবরাহ করতে হবে। ক্লিনফিড অনুষ্ঠান আমাদের কাছে সরবরাহ করা হোক। ডিস্ট্রিবিউটররা সে মোতাবেক ব্রডকাস্টারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। আমি নিজেও ব্রডকাস্টারের সঙ্গে আলাপ করেছি।‘

কেবল অপারেটরদের পক্ষে একা ক্লিনফিড বাস্তবায়ন সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি তখনই বাস্তবায়িত হবে, যখন ব্রডকাস্টার ক্লিন করে সেই ফিড প্রবাহিত করবেন। ক্লিন ফিড বাস্তবায়ন করতে গেলে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ কন্ট্রোল রুমের যে বক্স সরবরাহ করা আছে, সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে। স্যাটেলাইটের ফিড চেঞ্জ করতে হবে।‘

‘ক্লিনফিড বাস্তবায়নে সময় লাগবে। একটা যৌক্তিক সময় নির্ধারণের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। অন্যথায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটি যদি চলমান থাকে, তাহলে হয়ত আমাদের পক্ষে আর ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে না,’ এমনটাই দাবি করেছেন কোয়াবের নেতারা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply