fbpx

বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যারা সুইসব্যাংকসহ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা রেখেছেন তাদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট। আর এসব পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক কী পদক্ষেপ রেখেছে, তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

পাশাপাশি পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে কেনো নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এবং বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ জারি করেন।

সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস আদালতে রিট আবেদন করেন। তাদের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়। আগামী ৩০ মার্চ পরবর্তী আদালত শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

রুলে অর্থ পাচারের ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য কেনো একটি আলাদা তদন্ত টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেনো নির্দেশ দেওয়া হবে না বা অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনে নতুন কোনো আইন কেনো করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে শুনানির সময় বলা হয়, আলোচিত পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ পর্যন্ত যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মুসা বিন শমসের। এছাড়া সুইচ ব্যাংক থেকে টাকা আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে। বিএফআইইউকে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারা সেটা করছে।

আর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, কারা এই পাচারকারী তাদের বিষয়ে তথ্য প্রকাশে আইনগত কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। আইনানুযায়ী বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ওই তালিকা শুধুই তদন্তের কাজে ব্যবহার করতে পারবে। আর দ্বৈত নাগরিকের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই সংখ্যা কমবেশি ১৪ হাজার। পূর্ণাঙ্গ তালিকা পেতে সময় প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply