fbpx

‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্রাসঙ্গিকতা অফুরান: ঢাবি উপাচার্য

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শতবর্ষ পূর্বে রচিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার প্রাসঙ্গিকতা অফুরান। যুগে যুগে সমাজের সব ক্ষেত্রে নজরুলের কবিতার তাৎপর্য খুঁজে পাওয়া যায়। তাই জাতীয় কবি নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা কালজয়ী বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

২৫ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯) বুধবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবি’র সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জন্মবার্ষিকীর এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিদ্রোহীর শতবর্ষ’।

জাতীয় কবি’র ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভোরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হয়ে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে এক স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে একই বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল মূল বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দেবপ্রসাদ দাঁ-এর নেতৃত্বে বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, সংগীতজ্ঞ ও সাহিত্যিক কাজী নজরুলের অবস্থান শাশ্বত ও স্বতন্ত্র। সাহিত্য, কবিতা ও গানে তিনি যে দর্শনের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন সে নামেই তিনি পরিচিত হয়েছেন। তাই তিনি কখনও সাম্যের কবি, কখনও প্রেমের কবি, কখনও অসাম্প্রদায়িকতা ও সম্প্রীতির কবি আবার কখনও বিদ্রোহী কবি। শোষণ, নিপীড়িন, বৈষম্য ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে কবি নজরুলের কবিতা ও গান আমাদের শক্তি ও অফুরান অনুপ্রেরণা যোগায় বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।

উপাচার্য আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে কবি নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন। তাই জাতীয় কবিকে যথার্থভাবে সম্মানিত করতে বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য।

Advertisement
Share.

Leave A Reply