fbpx

বিধিনিষেধের কারণে জমে ওঠেনি মসলার বাজার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। ঈদে মাংস রান্নার প্রধান উপকরণ হচ্ছে নানা জাতের দেশি বিদেশি মসলা। তাই এসময় বাজারে মসলার চাহিদাও বেড়ে যায়। তবে এবার আগের মতো জমে ওঠেনি মসলার বাজার।

সাধারণত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরম মসলাসহ বিভিন্ন ধরনের মসলার একটা বড় অংশ আমদানি করা হয়। চলতি বছর লকডাউনের মধ্যেও আমদানি হয়েছে নানা জাতের মসলা। তবে করোনার কারণে দেশজুড়ে লকডাউন থাকায় এবার মসলা তেমন একটা বিক্রি হয়নি। চাহিদা কম হওয়ায় সরবরাহও বেশি। তাই দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন মসলা ব্যবসায়ীরা।

তবে ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। গত কয়েক দিনে আদা ও রসুনের দাম বেশ বেড়েছে, অন্যান্য গরম মসলার দামও বাজারে অল্প করে বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বাজারে গরম মসলা কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘কোরবানি এলে মাংসে যেহেতু পেঁয়াজ, রসুন, আদা একটু বেশি লাগে, সেই মুহূর্তে এগুলোর দাম বাড়ানো মানে আমাদের হিসেবের বাইরে আরেকটু ব্যয় বেড়ে গেল।‘

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি আদা অন্তত ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় এবং চীনা আদা অন্তত ২০ টাকা ২০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়।আর দেশি জাতের রসুনের দাম কিছুটা কম থাকলেও আমদানি করা চীনা রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য মসলার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে জিরা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, লবঙ্গ  এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, এলাচি আড়াই হাজার টাকা থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শুকনো মরিচের কেজি ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, হলুদ ১৫০ থেকে ২৮০ টাকা, ধনে ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান,পাইকারিতে কেজিপ্রতি ভারতীয় জিরা ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ইরানি জিরা ৩৬০ টাকা, দারুচিনি ৩৪০ থেকে ৪০০ টাকা, লবঙ্গ ৯৫০ থেকে এক হাজার, এলাচি এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি দরে দেশি পেঁয়াজ ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বার্মিজ আদা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চায়না আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চায়না রসুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply