করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি নৌপথেও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই যাত্রী ও পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথের ফেরিতে। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা এসব যানবাহন যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে দেখা যায় ঘাটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক আছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ ঘাটে আসছেন বলে কয়েকশ’ যানবাহন সকাল ৬টার পর আটকে পড়ে। তাদেরকেই শুধু পারাপার করা হচ্ছে। তবে নতুন করে আর যানবাহন পার করা হবে না বলে জানান তারা। এই নৌরুটে লকডাউন ঘোষণার পরই রাতে পরিবহনের চাপ বেশ বাড়ে বলেও তারা জানান।
ঘাটের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর পাটুরিয়ার চার নম্বর ঘাট এলাকায় দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে ১০-১২টি যাত্রীবাহী বাস নিয়ে ফেরি আসে। সে সময় বাসের যাত্রী ছাড়াও ফেরিতে আরও তিনশ’র বেশি মানুষ ছিল।
পরবর্তীতে সকাল নয়টায় ১৮ থেকে ২০টি যাত্রীবাহী বাস নিয়ে শাহ আলী ও রজনীগন্ধা নামের দু’টি ফেরি পাটুরিয়ার তিন নম্বর ঘাটে আসে। এ সময় বাস ও ফেরি মিলিয়ে ছয়শ’র বেশি যাত্রী নদী পার হয়ে ঢাকায় আসেন। তবে পাটুরিয়া ঘাট থেকে কোনো যাত্রীবাহী বাস দৌলতদিয়া প্রান্তে দেখা যায়নি।
এদিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নদী পারাপারে কোনো যাত্রীবাহী বাস না থাকায় সকাল থেকে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান এ বিষয়ে জানান, কোনো যাত্রীবাহী বাস পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে না। তবে, দৌলতদিয়া প্রান্তে আটকে থাকা কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস ফেরিতে পাটুরিয়ায় আসে। সরকার ঘোষিত লকডাউনের নির্দেশনা মেনে শুধু পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে বলেও জানান জিল্লুর রহমান।