fbpx

বিপিএলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষিপ্ত সাকিব; সিইওর দায়িত্ব পেলে পরিবর্তন করতে চান সবকিছুই

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিপিএলের সিইও হলে দুই মাসের মধ্যে পুরো অবকাঠামোই বদলে দিবেন, সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বুধবার গালফ অয়েল বাংলাদেশ কোম্পানিতে একদিনের জন্য সিইও পদে যোগ দিয়েছেন সাকিব। এরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রেস কনফারেন্সে বসেন তিনি। সেখানেই বিপিএল সম্পর্কে নিজের সকল চিন্তাধারা তুলে ধরেন টেস্ট এবং টি টোয়েন্টি অধিনায়ক।

সাকিবের কাছে প্রশ্ন ছিল, বিপিএলের সিইওর দায়িত্ব পেলে কি করতেন? সাকিবের উত্তর, “সব কিছুর পরিবর্তন করতে আমার বেশিদিন লাগবে না, সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাস। প্রথমত, এ মৌসুমের সব কিছু বাদ দিয়ে আবার ড্রাফট হবে, অকশন হবে। ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে সব আধুনিক টেকনোলজি থাকবে। ব্রডকাস্ট ভালো থাকবে, হোম এন্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে”

দুদিন বাদেই মাঠে গড়াবে বিপিএল। অথচ এখনো ঠিকমতো জার্সিই বুঝে পায়নি একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড়রা। এসব বিষয়ে চরমভাবে ক্ষিপ্ত সাকিব বললেন, “খবরে দেখলাম, কোনো কোনো দলের খেলোয়াড়রা এখনও জার্সিই পায়নি। মানে একটা যা তা অবস্থা! এর থেকে ডিপিএলই ভালো। আগে থেকেই দল গোছাতে পারে, সে অনুযায়ী দলও গুছিয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু বিপিএলে ম্যাচ শুরু হওয়ার পরই সবাই বুঝতে পারে যে বিপিএল চলছে। এর আগে কারও কোনো খবর নাই”

এবারের বিপিএলে দলগুলোতে দেখা যাচ্ছে মানসম্মত বিদেশি খেলোয়াড়ের অভাব। এছাড়াও প্রযুক্তিগত দিক দিয়েও পিছিয়ে এবারের আসর, সব ম্যাচে নেই ডিআরএসের ব্যবস্থা। বিশ্বের চতুর্থ ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি, তাহলে কেন এত অনিয়ম?

উত্তরে সাকিব বলেন, “জানি না! বিসিবির বোধ হয় বাজেট সঙ্কট। তা না হলে স্বদিচ্ছা থাকলে আমি থেমে থাকার কোনো কিছু দেখি না। ৩ মাস আগে ড্রাফট হবে না, অকশন হবে না, ডিআরএস থাকবে না, দুই মাস আগে থেকে দল গঠন থাকবে না-আমি এসবের কোনো কারণই দেখি না“

সাকিবের কথাগুলোর মধ্যে কিছুটা রসিকতার ছোঁয়া থাকলেও, বিপিএলের চরম অব্যবস্থাপনার দিকগুলো যেন চোখে আঙ্গুল দিয়েই দেখিয়ে দিলেন তিনি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply