fbpx

বিপিও শিল্পের উন্নয়নে বাজেট সহায়তার আহ্বান বাক্কোর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সম্ভাবনাময় বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় নি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং বা ‘বাক্কো’। এই শিল্পের উন্নয়নে বাজেট সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনটি বলছে, প্রযুক্তিনির্ভর কাজের চাহিদা বাড়ায় শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে এই খাতে । করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে জরুরী সেবার আওতায় বিপিও শিল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিরামহীন ২৪ ঘন্টা কলসেন্টার সেবা, জরুরী সেবা এবং ব্যাক-অফিসের মতো সেবাসমূহ প্রদান করে বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। দেশের পাশাপাশি আন্তজার্তিক পর্যায়েও এই খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে এই শিল্পকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়নি।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিপিও খাতের আওতা ও পরিধি বাড়াতে হলে এই শিল্পের প্রধান পরিচালক তাদের ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে হবে এবং এই জন্যে এই শিল্পে যে সব ইন্ডাস্ট্রি তাদের কাজ আউটসোর্সিং করবে তাদের বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে আকৃষ্ট করতে হবে। কিন্তু এই অপার সম্ভাবনাময় খাতের উন্নয়নে এই ধরনের কোন উদ্যোগ এই বাজেটে পরিলক্ষিত হয়নি ।

বিপিও খাতের উন্নয়নে এবং সম্প্রসারণের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার উপর ৫% হারে উৎসে মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যহতি দেওয়া না হলে গ্রাহকের ব্যয় বাড়বে। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার উপর ৫% হারে উৎসে মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি প্রদানের বাক্কোর দেওয়া প্রস্তাবটি আমলে নেওয়া হয়নি ।

বিপিও শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণা ও উন্নয়নে কনসালটেন্সি সার্ভিস, অডিট ও অ্যাডভাইজরি ও সম্মানী খাতের উপর বিদ্যমান উৎসে মূল্য সংযোজন কর শিথিলকরণ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা বাজেটে উপেক্ষিত হয়েছে।

আইটি বা আইটিইএস পরিষেবার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী ক্রয়ে মূল্য সংযোজন কর এবং উৎসকর থেকে অব্যাহতি প্রদান করার বিষয়টিও প্রকাশিত বাজেটে বিবেচনা করা হয়নি।

দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং এই জনশক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বিপিও শিল্পে, তাই প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং সুদৃষ্টি । সেলক্ষ্যে বিপিও শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, সহজ শর্তে ঋণ এবং সেন্টার ফর এক্সিলেন্স গড়ে তোলার জন্য ৩০০ কোটি টাকার তহবিল রাখার প্রস্তাব করলেও এই বাজেটে তা উপেক্ষিত হয়েছে।

আইটি বা আইটিইএস খাতকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়ায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানানো হয় বাক্কো এর পক্ষ থেকে। তবে এই কর অব্যাহতির সময়সীমা আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত করারও দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে কর অব্যাহতির সনদপত্র জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে যেন সহজে ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করতে পারেন তার জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করারও আহবান জানায় সংগঠনটি।

একই সঙ্গে বিপিও শিল্পের উন্নয়নে গবেষণার জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা ও তাদের কর্মসংস্থানের জন্য ৩০০ কোটি টাকা তহবিল গঠনেরও আহবান জানান বাক্কোর নেতারা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply